কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের কষ্টের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কিছু কিছু সেক্টর আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করছি। কিছু জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা যাতে মানুষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি। কারণ এটা রোজার মাস।
রবিবার (১০ মে) করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান গ্রহণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এসব অনুদান গ্রহণ করেন তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।
৫৭টি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তি রবিবার প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান দেন।
আত্মবিশ্বাস ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অসুখ-বিসুখ হলে মনে সাহস রাখতে হবে। কেবল ডাক্তার ও ওষুধেই রোগ ভালো হবে না। মনের জোর থেকে, আত্মবিশ্বাস থেকেও কিন্তু অনেকটা সুস্থ হওয়া যায়।
সবাইকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব নির্দেশনা দিয়েছে- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা,এক জায়গায় জটলা না করা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
সবাইকে মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার কষ্টের বিষয়টি উপলদ্ধি করেই সরকার ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে যারা বেশি ধন পেয়েছেন তাদের অন্যদের সহযোগিতা করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। এই কথাটা চিন্তা করেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
অনেকে অমানবিক আচরণও করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন পরিবারের সদস্য যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে দূরে ঠেলে দেওয়া, এমনকি তার কী অসুখ হলো না জেনেই তাকে দূরে ঠেলে দেওয়া, এটা ঠিক নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে হাতে হ্যান্ডগ্লাভস এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করে পরিবারকে সহযোগিতা করলে, এতে খুব একটা ক্ষতির কারণ হবে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু সন্তান হয়ে পিতাকে দূর করে দেওয়া বা স্ত্রী হয়ে স্বামীকে দূর করে দেওয়া, বা মাকে দূর করে দেওয়া- এটা কখনোই কল্যাণকর নয়।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সংকট মোকাবিলায় যারা কাজ করে যাচ্ছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক গুণগুলো- এটাই হচ্ছে মানুষ্যত্ব। আর এটাই আমাদের বাঙালির সবচেয়ে বড় পরিচয়। এই চরিত্রটাই সবার থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।
কর্তব্য পালন করতে গিয়ে করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
ধান কাটাসহ মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।