করোনা প্রতিরোধে যৌনতায় লাগাম বুন্দেসলিগায়

11

স্পোর্টস ডেস্ক :
যাবতীয় বিতর্ক দূরে সরিয়ে ৯ মে থেকেই শুরু হতে চলেছে রবার্ট লেবানডস্কি, টমাস মুলার, জ্যাডন স্যাঞ্চোদের বুন্দেসলিগা। জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ৫৯০০ জন। তবু সে দেশের ফুটবল লিগ চালু করে দিতে দ্বিধা করছেন না বুন্দেসলিগা কর্তৃপক্ষ। বরং তাঁরা যে নিয়মবিধি তৈরি করে এই লিগ চালু করতে চলেছেন, তা সারা বিশ্বের কাছে ‘মডেল নীতি’ বলে গণ্য হবে বলেই দাবি বুন্দেসলিগা কর্তাদের।
নিয়মবিধি বেশিরভাগটাই মানতে হবে ফুটবলারদের। জার্মান ফুটবল ফেডারেশন এ জন্য একটা গাইডলাইনও রবিবার প্রকাশ করেছে। লিগ শুরু হলেও তা দর্শকশূন্য থাকছে। দুই টিম, রেফারি, কর্তা, ক্যামেরা ক্রু, বলবয়, মেডিকেল টিম, মাঠ কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ম্যাচে তিনশো জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। মাঠে বলবয়ের সংখ্যা কমিয়ে চার জন করে দেওয়া হচ্ছে। ফুটবলারদের মাঠে আনতে বা ফেরত নিয়ে যেতে একাধিক টিম বাসের ব্যবহার করা হবে। যাতে ফুটবলাররা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন।
টিম মিটিংয়ের জন্য কনফারেন্স রুম বড় করার কথা বলা হয়েছে। প্র্যাক্টিসে ফুটবলারদের আসতে হবে নিজের দায়িত্বে, আলাদা গাড়িতে। কম প্র্যাক্টিস হবে। কোচ দূরত্ব রেখেই নির্দেশ দেবেন মাস্ক পরে। মাঠ বা ক্যান্টিনে কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। তা খেতে হবে হোটেলে বা নিজেদের বাড়িতে। যে সমস্ত ফুটবলার হোটেলে থাকবেন, তাঁরা নিজের ঘর নিজে পরিষ্কার করবেন ও আলাদা ওয়াশিং মেশিনে নিজেদের জামাকাপড় ধোবেন।
গাইডলাইনে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, ফুটবলাররা যেন লিগ শুরুর আগে থেকে যৌন সংসর্গে লিপ্ত না হন। এমনকি সঙ্গীকে চুম্বনও না করেন। খেলোয়াড়দের এবং তাঁদের নিকটজনদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা হবে সপ্তাহে দু’বার। ম্যাচের আগে ফুটবলারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে। হাইজিন অফিসার উপস্থিত থাকবেন প্র্যাক্টিস ও ম্যাচের আগে। তাঁকে ফুটবলাররা তাঁদের জীবনযাত্রার যাবতীয় খুঁটিনাটি জানাতে বাধ্য থাকবেন।
এত তাড়াহুড়ো করে লিগ শুরু কেন? তা নিয়ে বিতর্ক হলেও জার্মান ফুটবল সংস্থা মাথা ঘামাতে নারাজ। ১৩ মার্চ করোনা প্রভাবে লিগ বন্ধ হয়েছিল। ১৮ টিমের লিগের এখনও ১৩ টি করে ম্যাচ বাকি। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তা শেষ করতে চায় লিগ কমিটি। ৯ মে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্যাঞ্চো-হাল্যান্ডদের ডর্টমুন্ড খেলবে টিমো ওয়ার্নারদের লিপজিগের সঙ্গে। লিপজিগ রয়েছে তিন নম্বর স্থানে। এক নম্বরে আছে বায়ার্ন মিউনিখ।