বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এক পল্লী চিকিৎসকসহ ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদীপ বিশ্বাস রবিবার (২৬ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের উত্তর কাশেমনগর গ্রামে। প্রশাসন তার গ্রাম লকডাউন করেছে। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যসহ আশপাশের কেউ করোনা আক্রান্ত কি না তা নিশ্চিত করতে ১২জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন পল্লী চিকিৎসক আছেন। জ্বর-কাশি নিয়ে ওই যুবক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নেন। তাই ওই চিকিৎসকেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি তাকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।’
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের উত্তর কাশেমনগর গ্রামের ওই যুবক জ্বর-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ এপ্রিল শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হন। এরআগে জ্বর-কাশি নিয়ে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। একজন পল্লী চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেন। শনিবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এরপর শনিবার রাত দুইটার দিকে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদীপ বিশ্বাস, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক প্রমুখ উপস্থিতিত ছিলেন। রবিবার দুপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার, আশপাশের বাসিন্দা ও একজন পল্লী চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জ্বর-কাশিসহ নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি ওই চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের সমনভাগ চা বাগান এলাকায় দুই ব্যক্তি ঢাকা থেকে আসেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। এছাড়া গত কয়েকদিনে আক্রান্ত ব্যক্তির গ্রাম কাশেমনগর ও আশপাশের এলাকায় কয়েকজন গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ থেকে আসেন। যারা গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। তারা গোপনে এলাকায় আসেন ও আসার তথ্যটি গোপন রাখেন। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের ধারণা ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ আশপাশ এলাকা ফেরতদের থেকে ওই ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তি সমনভাগ চা বাগান বাজারে চা, ছোলা ও পিঁয়াজু বিক্রি করতেন।