কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তিনটি প্রকারের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয় বিজ্ঞানীদের দাবি, অঞ্চলভেদে মানুষের শরীরের ক্ষমতা বুঝে এটি আক্রমণ করছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা জানিয়েছেন, এই তিন প্রকারের করোনভাইরাস একে অপরের খুব কাছাকাছি এবং আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এই গবেষণাপত্রটি যুক্তরাজ্যের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। খবর ডেইলি মেইল ও মেট্রোর।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে করোনাভাইরসের যে প্রকারটি পুনরায় চীনে ছড়িয়ে পড়ছে তা মূল ভাইরাস নয়। অন্য একটি রূপ। তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন ভাইরসটি দ্রুত নিজেদের পরিবর্তন করে চলছে। ইতিমধ্যে এই ভাইরসের পরিবর্তিত রূপ বেশ কয়েকটি দেশে আক্রমণ করেছে।
ডঃ পিটার ফস্তার জানিয়েছেন, তিনি এবং তার দল এই ভাইরাসটির পরীক্ষা করা শুরু করেছিলেন। কারণ যেভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তা ছড়িয়ে পড়ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে এই পরীক্ষা করার দরকার ছিল। ইতিমধ্যেই একাধিক গবেষণা পত্রে এই বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলছেন এই ভাইরসের প্রতিষেধক তৈরির জন্য।
গবেষকরা গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নমুন সংগ্রহ করেছেন। করোনার তিনটি প্রকারকে তারা এ, বি ও সি দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। এই ভাইরাসের মূল হলো ‘এ’। তার থেকে ‘বি’ এর উৎপত্তি হয়েছে। এছাড়া ‘সি’ কে ‘বি’ এর সন্তান হিসেবে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণায় জানানো হয়েছে, বাঁদুরের শরীরে পাওয়া একটি ভাইরাসের খুবই নিকটবর্তী করোনাভাইরাসের ‘এ’ টাইপ উহানে দেখা গিয়েছে। তবে শহরে বিস্তার লাভ করেছে করোনাভাইরাসের ‘বি’ টাইপ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের ‘এ’ টাইপের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
উহানে ছড়িয়ে পড়া ‘বি’ টাইপ করোনাভাইরাস পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে ছড়িয়েছে। তবে তার মধ্যেও পরিবর্তন ঘটেছে। এছাড়া ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের ‘সি’ টাইপ। ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন ও ইংল্যান্ডের প্রাথমিক রোগীদের মধ্যে এই টাইপের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের এই গবেষণার পদ্ধতিগুলো ভবিষ্যতে রোগব্যাধির সংক্রমণ এবং এর হটস্পটগুলির ভবিষ্যদ্বাণী করতে সহায়তা করবে।