দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের আশি বছর বয়সী আসকন্দর আলী। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে তার ঘরে খাবার সামগ্রী ফুরিয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের কাজও নেই। খাবার কেনার টাকাও শেষ। এ কারণে তিনি ছিলেন বেশ চিন্তায়। তবে তার পাশে দেবদূত হয়ে দাঁড়ালেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। তিনি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে নিজ হাতে তাকে তুলে দেন খাদ্য সামগ্রী ভর্তি বস্তা।
এ সময় নিজের অজান্তে কান্না করতে থাকেন আসকন্দর আলী। বলছিলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ঘরের খাবার ফুরিয়ে গেছে। অনেকে ত্রাণ বিতরণ করলেও তিনি কোন ত্রাণ পাচ্ছিলেন না। এ কারণে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তবে মিজান চৌধুরী তার সেই দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়েছেন। খাবার পেয়ে তিনি দুই হাত তুলে মিজান চৌধুরীর জন্য দোয়াও করেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংকটময় এই মুহূর্তে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার কর্মহীন হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেনও। এ কারণে তিনি এ দুই উপজেলার জনসাধারণকে ভুলেননি। তাদের দুঃসময়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি তাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি নিজ খরচে এসব এলাকার ১০ হাজার কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন।
বুধবার খাদ্য সামগ্রী বিতরণের দ্বিতীয় দিনে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের দোহালিয়া বাজার সংলগ্ন মাঠ, মান্নারগাঁও ইউনিয়নের কাটা খালি বাজার মিতালী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠ ও আমবাড়ি বাজার সংলগ্ন মাঠ এবং পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের হাজী কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি হতদরিদ্র কর্মহীনদের মাঝে খাবার সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসহায় হতদরিদ্র সিনিয়র সিটিজেনদেরকে নিজ হাতে খাবারের বস্তা তুলে দিয়ে আসেন।
আসকন্দর আলী ছাড়াও ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা রহিমা খাতুন, জমির মিয়াসহ অনেক সিনিয়ন সিটিজেনও তার বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা বলছিলেন, এমন দুঃসময়ে কেউ পাশে না এলেও মিজান চৌধুরী তাদের খোঁজ নিচ্ছেন, নিজেই তাদের খাবার সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। এজন্য তারা মিজান চৌধুরীকে কৃতজ্ঞতাও জানান।
মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আপদকালীন সময়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল বিত্তবানদের নৈতিক দায়িত্ব। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি ছাতক-দোয়ারার ২২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিম্ন আয়ের ১০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগে গ্রহন করেছেন।’
এই তিনটি ইউনিয়নের ৪টি স্থানে ১২০০ মানুষের মধ্যে খাদ্য প্যাকেট বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আহবায়ক আব্দুল মানিক মাস্টার, যুগ্ম আহবায়ক ইজ্জত আলী আলী তালুকদার, মান্নানগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এইচ এম কামাল,তাইবুর রহমান, আফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য উপজেলা সাবেক সাধারণত সম্পাদক জামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা শওকত আলী, জাহাঙ্গীর, আব্দুল আলিম,শহাদত মেম্বার, আব্দুর রউফ,ওলিউর রহমান,জমির আলী সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি