কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে একদিনে ৫০০-এর বেশি মানুষ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
করোনা প্যানডেমিক ভারতে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এটাই একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা।দেশে একদিনে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৮২ জনে। এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬২ জন।
আক্রান্তের সংখ্যায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৩ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১১, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০২ জন। অন্যদিকে, দিল্লিতেও এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮৬ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
রাজ্য়ে আরও একজন দিল্লির নিজামুদ্দিনের সমাবেশ ফেরত ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। এবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনের সমাবেশে রাজ্যের কারা যোগ দিয়েছিলেন এবং রাজ্যে ফিরে তাারা কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। কারও নিজামুদ্দিন-যোগের সন্ধান মিললেই তাকে বাড়িতে বা সরকারি জায়গায় কোয়ারেন্টােইনে পাঠানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সোয়াব পরীক্ষায় যাতে দেরি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকেও। এরমধ্যেই দিল্লির নিজামুদ্দিন ফেরত হলদিয়া বন্দরের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে শুক্রবার কাজ বন্ধ হয়ে যায় হলদিয়া বন্দরে।
কলকাতা ও পূর্ব ভারতের অন্যত্র আটকে পড়া ১৪০ জন আমেরিকানকে রবিবার বিশেষ বিমানে দেশে ফেরানো হবে। রোববার সন্ধ্যায় দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরে আসছে এয়ার ইন্ডিয়ার বি-৭৮৭ ড্রিমলাইনার। কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে সানফ্রান্সিসকো পৌঁছাবেন এই যাত্রীরা। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি যাবে দিল্লি পর্যন্ত।সেখান থেকে ইউনাউটেড এয়ারলাইন্সের অন্য একটি বিমানে সওয়ার হয়ে সান ফ্রান্সিসকো উড়ে যাবেন মার্কিনিরা।
মার্কিন দূতাবাসের তরফে আটকে পড়া এই আমেরিকানদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভারতের থেকে আমেরিকায় অনেক বেশি ছড়িয়েছে, তবুও সংকটের সময় নিজের দেশে ফিরে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিনিরা।