ওসমানীনগরে গুজব রটানোর দায়ে একজন আটক অত:পর মুচলেখা দিয়ে মুক্তি

4

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
সিলেটের ওসমানীনগরে করোনা ভাইরাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে একের পর এক গুজব। বোনের সন্তান জন্ম নিয়েছে এবং ভাগ্নির গর্ভে জন্ম নিয়েছে। জন্ম নেওয়ার ৫ মিনিট পর বাচ্চাটি তার কান নাড়া দিয়ে বলে আল্লাহ মুসলমানদের উপর একি গজব নাজিল হলো, সবাই আজ রাত ১০ টার আগে চিনি ছাড়া চা খাও, ঘটনা সত্য এই ছুট্ট শিশুটির মুখ ফুটে কথা বলেছে সেটা দেখে আমরা অবাক। বাচ্চাটা ৫ মিনিট পর আবার মারাও গেছে। ঘটনার স্থান সিলেট দাশ পাড়া বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটায় সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খাগদীওর গ্রামের কদর মিয়ার পুত্র ফয়ছল আহমদ (২৫)।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দেওয়া স্ট্যাাটাস দেখে উৎসুক জনগণ তার কাছে ফোন এবং সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। পর দিন শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সে আরেকটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করে এবং সেখাসে সে উল্লেখ করে গত রাতে ওয়ার্সআপ, মেসেঞ্জার, ইমু, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যারা ফোন দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন আমার মনে হয় এমপি মন্ত্রীদের সাথে সাধারণ মানুষ এমন যোগাযোগ করে নাই। এদিকে, উপজেলার জনৈক শিক্ষক একই গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে পুলিশ তাকে আটক করতে অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ব্যক্তি তার নিজের নামের ফেইসবুক আইডি থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি গুজব প্রচার করেন। এ ঘটনার পর পরই সিলেটের রেঞ্জের ডিআইজি ও সিলেটর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক ফেসবুকে গুজব ছড়ানো ওই শিক্ষককে আটক করতে রাতভর অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার শিক্ষকের ভাই ও আত্মীয় মাসুক মিয়া, মানিক মিয়া, আছমা বেগম, নাজমা বেগম ও কলি বেগমকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। শুক্রবার ওসমানীনগর থানার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের আইডি থেকে গুজব রটানাকারী শিক্ষক পলাতক দেখিয়ে ও গুজব রটানোর প্রমান পাওয়া গেছে মর্মে ওসমানীনগর থানার ফেসবুক আইডিতেও একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষক থানায় হাজির হয়ে গুজব রটানোর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পান বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগনর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ মোবারক বলেন,কোনো অবস্থায়ই করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব রটানা করা যাবে না। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ তৎপর ভূমিকায় রয়েছে।