মৃত বেড়ে ৪, নতুন আক্রান্ত ৬

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে অচেনা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট চারজনের মৃত্যু হলো। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৯ জনে।
মঙ্গলবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানান।
সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাকে নিয়ে করোনায় মোট চারজনের মৃত্যু হলো। এছাড়া নতুন করে আরও ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন সৌদি থেকে এসেছেন। আর চারজন করোনা রোগীর সংস্পর্শ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে মহামারি আকার ধারণ করার পর ভাইরাসটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভাইরাসটি ১৯০টির মতো দেশে ছড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ছুঁই ছুঁই।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর আরও ৩০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর মধ্যে তিনজন মারা যায়। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন পাঁচজন।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর এর পরিচালক সেব্রিনা ফ্লোরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুর খবর জানান। এছাড়া নতুন করে আরও ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯২টি। সর্বমোট আইসোলেশনে আছেন ৪০ জন। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন। মোট মৃত্যু চারজন। বাকি যে পাঁচজন আছেন তাদের একজন সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে করোনার বিস্তার রোধে বেশ কিছু পরামর্শ দেন তিনি। সেব্রিনা বলেন, ‘সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণের এই কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। অত্যাবশ্যকীয় কাজ না থাকলে ঘরেই থাকুন। ২৬ তারিখের পরে যে কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে তা পালন করতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সাবান পানি নিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। অপরিষ্কার হাতে নাক মুখ স্পর্শ করবেন না। হাঁচি কাশি দিতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। টিস্যু ব্যবহার করার পর সেটি ডাস্টবিনে ফেলুন। যথাসম্ভব ঘরে থাকুন। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। গণপরিবহন যাতে জীবাণুমুক্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা কোনভাবেই ঘরের বের হবেন না। করমর্দন-কোলাকুলি বর্জন করুন।’
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট পিপিই রাখার চেষ্টা চলছে বলে জানান সেব্রিনা।