স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, বাজার, বিপণী বিতান করোনা ভাইরাসের কারণে আস্তে আস্তে ফাঁকা হয়ে আসছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ি বা বাসা থেকে বের হচ্ছে না। সবাইর মধ্যে করোনা ভাইরাসের আতংক বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের আদালতপাড়াও অন্যদিনের তুলনায় লোকজন ছিল কম। এছাড়া মহানগরীর রাস্তা-ঘাট ছিল অনেকটা যানজট মুক্ত। এমনকি নগরী অভিজাত হোটেলগুলোতে নেই আগের মত আনাগোনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে ২৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৫৭ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, মৌলভীবাজারে ৬৫ জন এবং হবিগঞ্জ জেলায় ২৩ জন রয়েছেন। তিনি জানান, সিলেট জেলায় ৫৭৮ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় ৪৩ জন, মৌলভীবাজার জেলায় ২১৬ জন এবং হবিগঞ্জে ৪৫ জনসহ মোট ৮৮২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এসব ব্যক্তিদের সিংহভাগই প্রবাসী এবং তাদের আত্মীয়স্বজন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয় গত ১০ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনের হিসাব রাখছে। যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।
এছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৮ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল। সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
অপরদিকে, সিলেটে হোম কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে প্রশাসন। প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন অমান্যকারীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা প্রতিরোধে গঠিত মাল্টিসেক্টরাল কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে এ নিয়ে সচেতনতা করতে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিলেটের ডেপুুটি সিভিল সার্জন ডা: নুরে আলম শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কমিটির সদস্য সচিব সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল ছাড়াও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন।