কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুমিল্লায় পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার পৃথকভাবে এসব নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও কক্সবাজারে সকল প্রকার জনসমাগম ও পর্যটক আগমনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে হোটেল-মোটেলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনোদন অনুষ্ঠান পরিবেশনসহ সবধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকালে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তিনি সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা, কলাতলীর ডলফিন মোড় ছোট-বড় যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিতরণে নেতৃত্ব দেন। জেলাবাসীকে বিভ্রান্ত এবং আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শও দেন।
এদিকে কক্সবাজার সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বুধবার বিকালে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ স্থানে কোনো ট্যুরিস্ট নেই। হাতেগুনা যে কয়েকজন রয়েছে তাদের চলে যেতে বলছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ।
বিকাল থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, “সৈকতে কোনো দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আগে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।”
করোনা ভাইরাসের কারণে সতর্কতা হিসেবে সিলেটের সকল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে এ নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবুল কালাম।
তিনি বলেন, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যাতে লোক সমাগম না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রকৃতি কণ্যা হিসেবে পরিচিত সিলেটে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। জাফলং, লালাখাল, পাংথুমাই, লোভাছড়া, উৎমাছড়া, বিছনাকান্দি, রাতারগুল, ভোলগঞ্জের সাদাপাথর এলাকায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঘুরতে যান।
ফলে পর্যটকদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা ছিল মানুষদের মধ্যে।