নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুড়াগাঁও নামক স্থানে সোমবার রাত ৮টায় এনা পরিবহনের একটি যাত্রবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজির ২ যাত্রী ঘটনাস্থালে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন।
নিহতরা হলেন, উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ছনর মিয়ার পুত্র সুমেল মিয়া(২৫) ও গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল(টেকইয়া) গ্রামের ইমান আলীর পুত্র গরু ব্যবসায়ী সমছু মিয়া(৫০)। আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উল্লেখিত সময় উপজেলার পানিউমদা বাজার থেকে আউশকান্দিগামী একটি সিএনজি অটোরিক্সা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার কুড়াগাঁও নামক স্থানে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৩১৪) যাত্রীবাহী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী সুমেল মিয়া(২৫) ও সমছু মিয়া(৫০) নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় সিএনজি চালকসহ ৩ জন। আহতরা হলেন, অটোরিক্সা চালক বুলবুল মিয়া (৪৫) ও সিএনজি যাত্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য জোৎসনা আক্তারসহ (৫৫) ৩ জন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ১ ঘন্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি এরশাদুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন,পনিউমদা থেকে আউশকান্দি গামী একটি সিএনজি অটোরিক্সার সাথে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি এনা পরিবহনের বাসে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে ঘটনাস্থলে দুইজন যাত্রী নিহত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি এরশাদুল হক ভূইয়া নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।