কোম্পানীগঞ্জে পাথর উত্তোলনের অনুমতি না মিললে কঠোর আন্দোলনের হুমকি

20

স্টাফ রিপোর্টার :
যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীসহ কোম্পানীগঞ্জের সকল কোয়ারি হতে পাথর উত্তোলন ও বিপনন করার সুযোগ সৃষ্টির আবেদন জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতি, পাথর ব্যবসায়ী সমতি ও স্টিল নৌকা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
এ সময় নেতৃবৃন্দ ৮ মার্চের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ৯ মার্চ তারা বিশাল সমাবেশ করে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। কোম্পানীগঞ্জের স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমতির সভাপতি মো. আব্দুন নূর লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১১ ফেব্র“য়ারি থেকে সকল প্রকার পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কোম্পানীগঞ্জের লাখ লাখ শ্রমিক ও ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন। ক্রাশার মিল, ট্রাক্টার, ট্রাক মালিক গন ব্যাংকের সুদ প্রদান করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকরা অনাহারে দিন যাপন করছে।
যেখানে কোম্পানীগঞ্জের ভোটার সংখ্যা লাখের নিচে সেখানে কিসের ভিত্তিতে লাখ লাখ শ্রমিকের কথা বলা হচ্ছে -এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারেননি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকবৃন্দ। মাত্র ৭% পাথরের জন্য সরকার কেন দেশের সম্পদ ও পরিবেশ দূষণের অনুমতি দিবে? এসব প্রশ্নেরও উত্তর নেই সংবাদ সম্মেলন আয়োজক সমিতিগুলোর কাছে।
তাছাড়া সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্যও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাতেও সাড়া পড়েছে। শিম চাষ করেও বাম্পার লাভবান হচ্ছেন শ্রমিকরা। এখন আর পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত থেকে জানমালের ক্ষতির বিষয়টি বুঝতে পারায় পাথর শ্রমিকের সংখ্যা এখন হাতেগোণা। একমত না হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুন নূর স্বীকার করেন, যারা সিজনাল শ্রমিক তাদের সবাই নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জের স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমতির সাধারণ সম্পাদক মো. আফতাব আলী কালা মিয়া, পাথর ব্যবসায়ী সমতির সভাপতি মো. আব্দুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী বাবুল ও স্টিল নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি মখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আলম।