কাজিরবাজার ডেস্ক :
৩১ মে শেষ হতে চলেছে লকডাউন ৪, তার আগে গত ৬৪ দিনের লকডাউনের পর্যালোচনায় ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ জুন থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাকেই এখন চূড়ান্ত রূপ দেওয়া চলছে।
গত বেশ কয়েক দিন ধরে এখানে টানা পর্যালোচনা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হতে চলেছে যে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন চালিয়ে যাওয়া হবে নাকি রাজ্যগুলিকে চূড়ান্ত করতে হবে ১ জুন থেকে তারা কীভাবে এগিয়ে যেতে চায়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পিএমওর প্রাপ্ততথ্য এবং প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে। এছাড়াও কেন্দ্র পৃথকভাবে যে তথ্য পেয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ১২ দিনে কোভিড পজেটিভ ও কোয়ারান্টাইন, উভয় ক্ষেত্রেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্র এটাও বুঝতে পারছে যে, লকডাউন চিরকালের জন্য চালু রাখা সম্ভব নয়। আর একটা বিষয়েও উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিড-১৯ মোকাবিলা তাদের কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে, কারণ বহু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা করছেন। পাশাপাশি তাদের চাপে কেন্দ্রকে কয়েকবার তাদের অবস্থান বদলাতে হয়েছে। বহুবার প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রাজ্যগুলি।
এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯-এ প্রাণ গিয়েছে ১৯৪ জনের। একদিনে করোনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা দ্বিতীয় বৃহত্তম। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৫৬৬ জন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৫৩১। আর মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৭ হাজার ৬৯২ জন।
বুধবার নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে দিল্লির পরিসংখ্যান। রাজধানীতে এক দিনে আক্রান্ত ৭৯২ জন৷ মারা গিয়েছেন ১৫ জন৷ দিল্লিতে মোট করোনা পজেটিভের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাপিয়ে গিয়েছে। দিল্লির এই পরিস্থিতি বেজায় চিন্তায় ফেলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। উদ্বেগের কারণ দিল্লির সরকারি হাসপাতালগুলিতে বেড সঙ্কটও।