কাজিরবাজার ডেস্ক :
সরকারি কলেজের শিক্ষকদের আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতরে দফতরে ঘুরতে হবে না। ছুটির ফাইল অনুমোদনের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষাও করতে হবে না। আগামী এপ্রিল থেকে অনলাইনেই ছুটি, লিয়েন ও প্রেষণসহ সব ধরনের আবেদন জানাতে পারবেন তারা। ফাইল নিষ্পত্তিও হবে অনলাইনে। ফলে বন্ধ হবে শিক্ষকদের হয়রানি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন,‘আগামী এপ্রিল থেকে সরকারি কলেজগুলোর জন্য ই-নথি চালু হচ্ছে। দেশের ৩২৭টি কলেজের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষককে ই-নথির আওতায় আনা হবে। পর্যায়ক্রমে নতুন সরকারি হওয়া ৩০২টি কলেজও ই-নথির আওতায় আসবে। এরপর ই-নথির আওতায় আসবে সরকারি স্কুলগুলো। ’
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ই-নথি কার্যক্রম চালুর জন্য গত ১৩ জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা হয়। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে এপ্রিল থেকে ই-নথি কার্যক্রম শুরু হবে। এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ই-নথি চালু হলে সাধারণ ছুটিসহ সব ধরনের ছুটির আবেদন করতে পারবেন শিক্ষকরা। এছাড়া প্রেষণ ও লিয়েনের জন্য আবেদন, বর্ধিত ইনক্রিমেন্টের জন্যও আবেদন করা যাবে ঘরে বসেই। ফাইল নিষ্পত্তি হবে অনলাইনে।
অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন,‘শিক্ষকরা হার্ড কপিতে কোনও আবেদন করলে তা অনেক সময় হারিয়ে যেত। মাসের পর মাস ফাইল ফেলে রাখা হতো। এই ব্যবস্থায় দুই দিনের বেশি ফাইল আটকে রাখার সুযোগ থাকবে না। ’
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের সাধারণ ছুটিসহ বিশেষ ছুটি অনুমোদনের জন্য দফতরে দফতরে ঘুরতে হতো। প্রেষণ বা লিয়েনের আবেদন পড়ে থাকতো মাসের পর মাস। অভিযোগ রয়েছে,বর্ধিত ইনক্রিমেন্টের অনুমোদন দিতে এসব শিক্ষককে অনেক সময় আর্থিক সুবিধা দিতেও বাধ্য করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তারা। না দিলে করা হয় হয়রানি।
অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ই-নথি চালু হলে এ ধরনের কোনও অভিযোগ থাকবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মাউশিতে দিনের পর দিন ঘুরে শিক্ষকদের তদবির করার প্রয়োজন হবে না।