কাজিরবাজার ডেস্ক :
চীনফেরত মানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়। কিংবা এটি এখনও বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠেনি। ঢাকায় সোমবার আইইডিসিআর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্পের কোয়ারেন্টাইন থেকে ঘরে ফেরা ৩১২জনের সবাই সুস্থ আছেন। তাদের কারোর মাঝে কোন ধরনের অসুখবিসুখ দেখা না দিলেও আরও অন্তত দশদিন নজরদারিতে রাখা হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সন্দেহে চীনফেরত এক শিক্ষার্থীর রক্তের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে চীনে আটকাপড়া ১৭১ বাংলাদেশীকে এখনই ফিরিয়ে না আনার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত। সোমবার ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা
প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর রুটিন মাফিক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে- দেড়মাস আগে চীনে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর তা বিশ্ববাসীর জন্যও আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। দেড় হাজারের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যাও ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। চীনের বাইরে দুই ডজনের বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, এর মধ্যে চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা সিঙ্গাপুরে, সেখানে কয়েকজন বাংলাদেশীও ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাংলাদেশের অনেকের চীনে যাতায়াতের পাশাপাশি বাংলাদেশী অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন দেশটিতে। চীনের যে নগরীতে প্রথম ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে, সেখানে থাকা তিন শতাধিক বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর দুই সপ্তাহ ঢাকায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যেই চীনের অন্যান্য প্রদেশ এবং সিঙ্গাপুর থেকে ফেরা বাংলাদেশীদের নিয়ে তাদের এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। তাদের হাসপাতালে যেতে চাপ দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ সময় আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরা বাংলাদেশীদের নিয়ে মানুষের ভেতরে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। আমরা একটা বিষয় দেখতে পাচ্ছি, ইদানীং সিঙ্গাপুর বা চীন থেকে এলেই তাকে আইসোলেশন করার একটা প্রেসার আসে মানুষ এবং সংশিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কাছ থেকে। কিন্তু চায়না বা সিঙ্গাপুর থেকে এলেই তো তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন।