মদনমোহন কলেজের নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি

11

বেসরকারি কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি ও সম্পাদক নির্বাচনী বিধিমালা আলোকে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে, সরকারি কলেজের শিক্ষক পর্ষদের নীতিমালার আলোকে প্যাটার্নভুক্ত শিক্ষকদের স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে মদন মোহন কলেজের শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদক পদে নির্বাচন ঘোষণা দাবি জানিয়ে গতকাল ১৭ ফেব্র“য়ারি সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মদন মোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ সুয়েবুর রহমান।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, গত ০৮/০৮/২০১৮ইং তারিখে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মদনমোহন কলেজকে সরকারিকরণ করা হয়। প্রজ্ঞাপনের পর কলেজ গভর্ণিং বডি ও শিক্ষক প্রতিনিধি পদ গত ২৭/০৮/২০১৮ তারিখে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন।
সরকারি হওয়ায় কলেজের সবকিছুই সরকারি নিয়মানুযায়ী চলার কথা থাকলেও হঠাৎ করে বেসরকারি কলেজ গভর্ণিংবডি-শিক্ষক প্রতিনিধি এবং শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক পদে নির্বাচন ২০১৫ বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সরকারি নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। গত ১৪/০১/২০১৯ইং তারিখের শিক্ষক পর্ষদের সাধারণ সভায় সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম কলেজের অতীত প্রশাসন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে তীব্র বিষোধগার করেন। শিক্ষক পর্ষদের সাধারণ সভায় ২৭/০৬/২০১৯ইং তারিখে পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
গত ০৫/০১/২০২০ইং তারিখে উপাধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষক পর্ষদের সম্পাদককে না জানিয়ে হঠাৎ করে জরুরী সভা আহ্বান করেন। সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ জরুরী সভার খবর পেয়ে সভায় উপস্থিত হন। সভায় সম্পাদক তাঁর বক্তব্যে বলেন, অধ্যক্ষের সব ধরণের আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন, অধ্যক্ষের জন্য বরাদ্দকৃত সু-সজ্জিত বাড়ি খালি রেখে আপনি নিজের বাসায় থাকেন ও শিক্ষক কোয়াটার খালি রেখে সরকারকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। কলেজের আর্থিক কালেকশনে আপনি ব্যর্থ। কলেজের সিনিয়র কোনো শিক্ষককে আপনি পাত্তাই দিচ্ছেন না। এসব কথা বলায় সম্পাদককে পরিবর্তনের লক্ষ্যে বেসরকারি কলেজ পরিচালনার নীতিমালার আলোকে নির্বাচনের তফসশীল ঘোষণা করেছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ কলেজের বর্তমান সম্পাদকের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০/০৯/২০২০ইং তারিখে।
তাই সরকারি কলেজের নীতিমালার আলোকে প্যাটার্ণবহির্ভূত শিক্ষক ও ৫৯ বছর অতিক্রম করেছেন এমন শিক্ষককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত কি না, তাহা বিবেচনায় এনে সরকারি নিয়মে শিক্ষক পর্ষদের নীতিমালা অনুসারে একটি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে যথাসময়ে নির্বচানী তফসীল ঘোষণা এবং পুরাতন বেসরকারি নির্বাচনী তফসীল বাতিল করার জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক এর নিকট অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি