সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জে বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পর্ণো ছবি দেখানো ও যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন হয়রানির শিকার এক ছাত্রীর বাবা।
এদিকে বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পালের আদালতে হাজির করা তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
সুনামগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শহরতলীর মাইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে গাইড বই দেওয়ার নামে বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে পর্নো ছবি-ভিডিও দেখতে বাধ্য করা, নানা অজুহাতে শরীরে হাত দেওয়া, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক অভিভাবক মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল হয়রানির শিকার চার ছাত্রীর ২২ ধারার জবানবন্দী গ্রহণ করেন। পরে আদালত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চার ছাত্রীকে পর্ণো ছবি দেখানো ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেন অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন।
সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক একেএম সাফায়েত আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।