পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৬শ একর জমিতে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কৃষকের মুখে হাসি নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ তিন দশকেও উপজেলার ৫ নং সদর ইউনিয়নের বালিয়া ছড়ায় স্লুইস গেইট নির্মাণ না করায় চলতি বোরো মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ৫নং কমলগঞ্জ ইউনিয়নের বালিয়াছড়ার তীরবর্তী উত্তর বালিগাঁও, পশ্চিম কুমড়াকাপন, রাসটিলা, কান্দিগাঁও, বনগাঁও গ্রামের কৃষকেরা প্রতিবছর বালিয়া ছড়ায় মাটি দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করে বোরো ধানের জমিতে সেচ সুবিধা নিয়ে আসছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ওই ছড়ায় আবারো বাঁধ নির্মাণ করেন।
কৃষকদের অভিযোগ, আজ থেকে প্রায় ২ দশক পূর্বে এই ছড়ার উপর একটি স্লুইস গেইট নির্মিত হলেও যথাযথ পরিকল্পনা বিহীন এই স্লুইস গেটটি কৃষকদের কোন কাজে আসেনি। পাহাড়ের পাদদেশে ছড়ার উৎস মুখে কৃষিজমি বিহীন স্থানে অ পরিকল্পিতভাবে এই স্লুইস গেটটি নির্মাণ করায় তার সুবিধা ভোগ থেকে বরাবরই বঞ্চিত রয়েছেন কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় স্থায়ীভাবে স্লুইস গেইট নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় কৃষকেরা ১৯৯৮ সালে মৌলভীবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করে উত্তর বালিগাঁও প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় বালিয়া ছড়ার উপর একটি স্লুইস গেইট নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছিলেন। এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি ওই স্থানে একটি স্লুইস গেইট নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছিলেন কিন্তু অদ্যাবধি সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন না হওয়াতে কৃষকদের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। ৫নং কমলগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোলেমান হোসেন ভূট্টো বলেন, স্লুইচ গেট নির্মাণ না হওয়াতে প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে বোরো চাষ করা হচ্ছে। তার মতে এই এলাকায় একটি স্লুইস গেইট নির্মিত হলে এলাকার প্রায় ৬ শ একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে এবং কৃষকরা উপকৃত হবে। তাই কৃষকদের এই ন্যায্য দাবী মেনে নিয়ে অবিলম্বে এখানে একটি স্লুইস গেইট স্থাপনের জন্য দাবী জানান তিনি। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আমি এ উপজেলায় মাত্র কয়েকদিন হয় যোগদান করেছি, সরজমিনে পরিদর্শন করে স্লুইস গেইট নির্মাণের জন্য বিএডিসি, প্রকৌশল অধিদপ্তর সহ অন্যান্য দপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।