একে কুদরক পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শিশু তোফাজ্জল হত্যা মামলায় ফুফু শিউলী বেগম (১৯), চাচা লোকমান হোসেন (২১) ও সালমান হোসেন (২৫), ফুফা সেজাউলসহ ৭ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ফুফু শিউলী বেগম ও প্রতিবেশী সারোয়ার হাবিব রাসেলকে ৫ দিনের এবং চাচা লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন, ফুফা সেজাউল, তার বাবা কালা মিয়া ও প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হবিকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশ বিষয়টি নিশ্চত করেছে।
সোমবার বেলা সাড় ১১ টায় সুনামগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলত তাহিরপুর জোনের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল-এর আদালতে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি, তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শিশু তোফাজ্জলের ফুফু শিউলী বেগম ও প্রতিবেশী সারোয়ার হাবিব রাসেলের ১০ দিন ও চাচ লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন, ফুফা সেজাউল, তার বাবা কালা মিয়া ও প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হবির ৫ দিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত ২ জনের ৫ দিন ও ৫ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোজ হয় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাশতলা গ্রমের বসিন্দা জুবায়ের হোসেনের ছেলে শিশু তোফাজ্জল হোসেন। পর দিন ৯ জানুয়ারি তাহিপর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর কে বা কারা ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন চেয়ে একটি চিঠি শিশু তোফাজ্জলের বাবার বসত ঘরের বারান্দায় ফেলে যায়। গত১১ জানুয়ারি শনিবার বাড়ির অদূরে বস্তাবন্দী শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে তাহিরপুর থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন সন্ধ্যায় শিশু তোফজ্জলের ফুফা সেজাউল, তার স্ত্রী শিউলী বেগম( শিশুর ফুফু), সেজাউলে বাবা কালা মিয়া, নিহত শিশু তোফাজ্জলের চাচা লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন (২৫), প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হবি ও তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। শনিবার রতেই শিশুটির বাবা জুবায়ের হোসেন অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।