বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দার্শনিক, ড. বৃন্দাবন বিহারী দাস কাঠিয়া বাবা মহারাজ বলেছেন, নিম্বার্ক দর্শনের মূল তত্ত্ব হচ্ছে শান্তি ও মানব কল্যাণ। কুলশতা ও কালিমা দূর করে মানব আত্মাকে কল্যাণের দিকে ধাবিত করতেই কাজ করে বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ সিলেট জেলা শাখা আয়োজিত ‘বিশ্ব শান্তি কামনায় নিম্বার্ক দর্শন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ সিলেট জেলা শাখার উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শরদিন্দু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র।
ড. বৃন্দাবন বিহারী দাস কাঠিয়া বাবা মহারাজ বলেন, আচার্য নিম্বার্কের আটটি গুণাবলীর মধ্যে প্রজ্ঞা ও কৃতজ্ঞতাবোধ অনন্য। সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতেই মনিষীরা কাজ করে গেছেন। নিম্বার্ক দর্শনের আরেকটি বিশেষত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দর্শন জীব ও জগৎকে তুলে ধরে। ¯্রষ্টার দেখানো পথ মানবতার কল্যাণকে এগিয়ে নেয়াই এর লক্ষ্য। মৈত্রী, সম্প্রীতি, প্রেম ভালোবাসার মানবীয় গুণের অনন্য আশ্রয়স্থল হচ্ছে নিম্বার্ক দর্শন। আধুনিক সভ্যতার যুগেও নিম্বার্ক দর্শন বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষিকা শিলা চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক বিজিত কুমার দে, সারদা সংঘের সম্পাদিকা বিথিকা দত্ত, জগদ্বন্ধু আশ্রমের অধ্যক্ষ বন্ধু প্রীতম, ওয়ার্ল্ড নিম্বার্ক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় ও বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিভু ভূষণ সেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী সংগীত পরিবেশন করেন মধু মংগল দাস। বিজ্ঞপ্তি