আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে গোয়ালঘরের দরজা ভেঙ্গে কৃষকের দু’টি গরু চুরি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা গৃহপালিত গরু দু’টি চুরি করে রাতের আঁঘারেই জবাই করে মাংস বন্ঠন করে নিয়ে গরুর চামড়া ও বর্জ্য কবরস্থান ও ধানের জমিতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনাটি গত রবিবার রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের খাগামুড়া গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলার খাগামুড়া পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের পুত্র আবদুল জব্বার জানান, তিনি কৃষি ক্ষেতের পাশাপাশি নিজের বাড়িতে গরু মোটা-তাজা করে বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি অন্যের কাছ থেকে ধার করে টাকা এনে ৩১হাজার টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় ক্রয় করেছিলেন। ওই ষাঁড়সহ একটি গর্ববতী গাভী ও অন্যান্য গৃহপালিত পশু গরু প্রতিদিনের মতো গোয়াল ঘরে দরজা তালাবদ্ধ করে রাখা ছিল। রবিবার রাত ১২টার দিকে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন গোয়াল ঘরের দরজার তালার লক ভেঙ্গে চোরেরা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ষাঁড় ও গাভী দু’টি নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তিনি চারদিকে গরুগুলোর সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজতে থাকেন। স্থানীয় কৃষকরা তাদের গরু চড়াতে গেলে ধানের জমিতে ও খাগামুড়া কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে জবাইকৃত গরুর চামড়া ও বর্জ্য দেখতে পান। তাদের কথামত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে তিনি তার চুরিকৃত গরু দু’টির চামড়া শনাক্ত করেন। আবদুল জব্বারের অভিযোগ তার সাথে গ্রামের আনোয়ার আলী মেম্বার গংদের বিরুদ্ধে পূর্ব শত্র“তা রয়েছে। শত্রুতা বশত তারা তার গরু দু’টি চুরি করে রাতের আঁধারে জবাই করে মাংস ভাগা-ভাগি করে নিয়েছে। তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে এর সুষ্ট বিচার চান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আনোয়ার আলী তিনিসহ তাদের উপর আনিত অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, প্রায় তিন দিন আগে শুনেছেন জয়নালের কাছ থেকে ভাগি আনা ষাড় ও জব্বারের চাচাতো ভাই আবুল খয়েরের একটি গাভী চুরি হয়েছে। কে বা কারা গরু চুরি করে এগুলো জবাই করে বর্জ্য ফেলেছে তার জানা নেই। তাদের উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।