ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ সুরমার জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসার শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলন আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আল্লাম শায়খ বদরুল আলম এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে দস্তারবন্দী সম্মেলনকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জেগেছে। সম্মেলনের প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। মাইকিং, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ সহ মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লীদের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন প্যান্ডেলে তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সম্মেলনে প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে। মাদরাসার প্রবেশের মূল সড়ক ছাড়াও প্যান্ডেলে প্রবেশের জন্য বিকল্প সড়কে দু’টি বাঁশের সেতু তৈরী করা হয়েছে। মাদরাসার পুকুর ছাড়াও বাইরে ওজুর ব্যবস্থা থাকবে। সম্মেলনে প্রায় শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হবে। দস্তারবন্দী এ সম্মেলনে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে পাগড়ী প্রদান করা হবে।
প্রথম দিন আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এবং ৩য় অর্থাৎ শেষ দিন ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে পরেদিন বাদ ফজর দোয়া মাধ্যমে ৩ দিনব্যাপী সম্মেলন সমাপ্ত হবে।
সম্মেলনে এশিযা, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা এবং উপমহাদেশের বরণ্য উলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ ওয়াজ পেশ করবেন।
সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে তাওয়াক্কুলিয়া ফুযালা ও আবনা পরিষদের সভাপতি ও মাদরাসার খাদিম মাওলানা শামছুল ইসলাম খলিল, সেক্রেটারী হাফিজ মাওলানা নুরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।
মহাসম্মেলন বাস্তবায়নে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহানকে সভাপতি ও মাওলানা হাফিজ ফখরুল আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মহাসম্মেলন ইন্তেজামিয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৮টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দায়িত্বপ্রাপ্তরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
দরস্তাবন্দী সম্মেলন উপলক্ষে এক হাজার পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। উক্ত স্মারকে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাণী রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি