কাজিরবাজার ডেস্ক :
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে উত্তর প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০। যদিও পুলিশ ছয়জনের বেশি মৃত বলে মানতে নারাজ। কিন্তু হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে, শুধু শুক্রবারের বিক্ষোভের জেরেই উত্তর প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এই নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নাগরিকত্ব আইনবিরোধী প্রতিবাদে ১১ জনের মৃত্যু হলো।
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, শুক্রবারের বিক্ষোভে একটিও গুলি চলেনি। কিন্তু মৃত ও আহতদের অনেকের গায়েই বুলেটের ক্ষত রয়েছে। গুলিতে আহতদের মধ্যে রয়েছে এমনকি একাধিক পুলিশকর্মীও।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোলমাল ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে উত্তর প্রদেশের আরো নানা এলাকায়। নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া গেছে ভদোদরা এবং জবলপুর থেকেও। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী ও লখনউসহ মোট ২১টি জেলায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বিক্ষোভের জেরে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মেরঠ। মেরঠ মেডিক্যাল কলেজেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজনোর থেকে আরো দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মুজফফরনগর, ফিরোজাবাদা, সমভাল এবং কানপুর থেকে একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লি। শুক্রবার রাতে, পুরনো দিল্লির দারিয়াগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের উপরজলকামান এবং লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী প্রাইভেট গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার জেরে শনিবার ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।