মানবাধিকার দিবসে জেলা বিএনপির র‌্যালী ও সমাবেশ ॥ মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাশীল থাকলে অবিলম্বে সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে

15

সিলেট জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী বাকশালী সরকার নিজেদের ফ্যাসীবাদী শাসন কুক্ষিগত করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করে মানবাধিকার হরণের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। একদিকে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা খুন-হত্যা, ধর্ষণের উৎসব চালাচ্ছে। অপরদিকে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে। প্রতিদিনই সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এমনকি ফাঁসির আসামীরা পর্যন্ত জামিনে বের হলেও দেশনেত্রীর জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা জানানো স্বত্ত্বেও সরকার তাতে কোন পাত্তা দিচ্ছে না। অথচ আইনী প্রক্রিয়ায় জামিন ও প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা যে কোন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সেই অধিকার হরণ করেছে। সরকারের মাঝে ন্যূনতম মানবতাবোধ থাকলে এবং মানবাধিকারের প্রতি সরকার ন্যূনতম শ্রদ্ধাশীল হলে অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না। তাই ফ্যাসীবাদী সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এজন্য দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্ট্রারী মাঠ থেকে র‌্যালী বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি রেজিষ্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। র‌্যালীতে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালী পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।
র‌্যালী ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, বিএনপি নেতা আজির উদ্দিন আহমদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ইউনুস মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ইকবাল নিহাল, বিএনপি নেতা বজলুর রহমান ফয়েজ, আব্দুল মালেক, আব্দুল লতিফ খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, বিএনপি নেতা দিলোয়ার হোসেন জয়, হেলাল আহমদ, আজির উদ্দিন, জিলা মিয়া মেম্বার, ইলিয়াস আলী মেম্বার, কামরুজ্জামান দীপু, শামসুর রহমান শামীম, আব্দুর রহিম, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা আমেনা বেগম রুমি, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক লিটন আহমদ চৌধুরী, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মালেক ও ইসলাম উদ্দিন, যুবদল নেতা আখতার আহমদ, আশরাফ উদ্দিন ফরহাদ, ময়নুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান নেছার, লিটন আহমদ, কয়েস আহমদ, আলী আহমদ আলম, মকসুদুল করিম নোহেল, এনামুল হক শামীম, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদিকা ফাহিমা আহমদ কুমকুম, বিএনপি নেতা আব্দুল আহাদ নুরুল ইসলাম, আকবর আলী, মহিলা দল নেত্রী মিলি বেগম, মনিজা বেগম, সালমা বেগম, হকার্স দল নেতা খোকন ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, ছাত্রদল নেতা আব্দুস সালাম টিপু, তানভির আহমদ চৌধুরী, মিনার হোসেন লিটন, জহুরুল ইসলাম রাসেল, হোসাইন আহমদ, আশরাফ উদ্দিন রাজিব, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, সদরুল ইসলাম লোকমান ও জুবায়ের আহমদ লিলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি