গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর হত্যাকান্ডের স্বীকার ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত শফিক মিয়াকে (২৭) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক শফিক মিয়া নয়াগাঙ্গেরপাড় গ্রামের আব্দুল করিম উরফে গেদা মিয়ার ছেলে।
নিহত শফিকের স্ত্রী মুন্নী আক্তার (২৩) উপজেলার লক্ষণছড়া এলাকার মৃত ফজল করিমের মেয়ে। গতকাল শনিবার ভোরে উপজেলার নয়াগাঙ্গের পার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে নয়াগাঙ্গেরপার গ্রামের গেদা মিয়ার ছেলের সাথে একই উপজেলার লক্ষণছড়া এলাকার ফজল করিমের মেয়ে মুন্নী আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৩ মাসের একটি শিশু ছেলে রয়েছে। এর আগেও শফিক আরেকটি বিয়ে করেছিল। কিন্তু নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে আগের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এরপরই মুন্নিকে বিয়ে করে শফিক। বিয়ের পর প্রতি রাতেই নেশা করে বাড়ি ফেরার কারণে স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সর্বশেষ গত শুক্রবার ভোর রাতে শফিক নেশা করে বাড়িতে ফিরে অকারণেই স্ত্রী মুন্নির সাথে ঝগড়াঝাটি শুরু করে। ঝগড়ার একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে স্ত্রী মুন্নির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক পেটাতে থাকে শফিক। যার কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর আহত ভেবে মুন্নিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে সিএনজি চালিত একটি অটোরিক্সায় করে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তামাবিলে আসার পর শফিককে আটক করে পুলিশ। একই সাথে নিহত মুন্নির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতী চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার বোন মুন্নিকে সে (শফিক) প্রায়ই নেশা করে মারধর করতো। যার একপর্যায়ে সে আমার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সে মানুষ না। সে একটা হিংস্র জানোয়ার। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী শফিক মিয়াকে আটকের পাশাপাশি নিহত স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিহতের বড় ভাই হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি।