কুয়েত ও ইয়েমেন-এ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) এম আহসাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানী। আমাদের জাতীয় ইতিহাসেরও এক অনন্য প্রাণপুরুষ তিনি। সুদক্ষ ও রণকুশলী সমরনায়ক হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সফল নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে মাত্র নয় মাসে বিজয় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সক্ষম হন। জেনারেল ওসমানী শুধু একটি নাম নয়, এক গৌরবময় ইতিহাসও বটে। তার অনুকরণীয় জীবন ও আদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য অনুপ্রেরণার অনন্ত উৎস।
গতকাল ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত বছরব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জির সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাবেক জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও উদযাপন পরিষদের প্রতিযোগিতা বিষয়ক উপ-পরিষদের আহবায়ক মাহবুবুজ্জামান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড.আতফুল হাই শিবলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ এর সদস্য সচিব ও প্রধান সমন্বনয়ক, দৈনিক সিলেট সংলাপ সম্পাদক মুহম্মদ ফয়জুর রহমান।
মঞ্চে আসন গ্রহণ ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এর ডিরেক্টর এস. আই. আজাদ আলী, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও শাবিপ্রবি’র সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ চৌধুরী, উদযাপন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি এডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী, উদযাপন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেড এর প্রেসিডেন্ট এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিলেটের একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আতফুল হাই শিবলী বলেন, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী ছিলেন সততা, ন্যায়পরায়ণতা, আদর্শবাদিতা এবং নীতিনিষ্ঠার এক মূর্ত প্রতীক। তাঁর দেশপ্রেম ছিল প্রশ্নাতীত। তিনি দেশ ও জাতির স্বার্থকে বরাবরই তিনি ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন।
মুফতি আব্দুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট এর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. নাসিম আহমদ, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব চৌধুরী এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, ডা. মোস্তফা শাহ জামান চৌধুরী বাহার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মো.আব্দুর রউফ, উদযাপন পরিষেেদর অর্থ উপ-পরিষদের আহবায়ক মো.ইমদাদুল হক বেলাল, এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, ডা. এম এ জলিল চৌধুরী, কবি নাজমুল আনসারি, কয়েছ আহমদ সাগর, সাংবাদক এম ইজাজুল হক ইজাজ, আমীন তাহমীদ, ইছমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, অনুকরণীয় জীবন ও আদর্শ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য অনুপ্রেরণার অনন্ত উৎস। জাবেদুল ইসলাম দিদার ও নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার, ক্রেস্ট, সনদপত্র ও স্মারকগ্রন্থ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১শ’ ৭০ জনকে সনদপত্র ও স্মারকগ্রন্থ প্রদান করা হয়।