নগরীর জামতলা মহল্লায় বানরের অত্যাচার ও আক্রমণে বাসা-বাড়ির লোকজন ও শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বাসা থেকে বের হলেই বানরের আক্রমণের শিকার হতে হয় সবাইকে। বানরের ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অনেকেই। ইতিমধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থীকে আক্রমণ করে কামড় দিয়েছে বানর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস দুয়েক ধরে জামতলা মহল্লায় ২টি বানরের আনা-গোনা দেখা যায়। এর পর থেকে দিন দিন বানরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বানরগুলো বাসাবাড়ির ছাদে, আঙ্গিনায় ও বারান্দায় চলাচল করে। প্রথম দিকে বানরগুলো শিশু বচ্চাদের ভয় দেখালেও ইদানিং বড় মানুষদেরকেও আক্রমণের চেষ্টা করে। গত ২০ দিন আগে জামতলার বাসিন্দা এডভোকেট রকিব আলীর মেয়ে, স্টুডেন্ট হোম স্কুলের নার্সারির ছাত্রী তাসনিয়া তাব্বাছুমকে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাস থেকে বের হলে বাসার আঙ্গিনাতে থাকা বানর কামড় দেয়। ওই দিন একই স্কুলের ছাত্র জারিফকে বানরে কামড় দেয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ইনজেকশন দেয়া অবস্থায় আবারও গত সপ্তাহে তাসনিয়া তাব্বাছুমকে বানর কামড় দেয়। গত মাসে সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্র মাহফুজুর রহমানকে কামড় দেয় বানর। এতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা গুরুত্ব আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বানরের অত্যাচার ও আক্রমণ থেকে জামতলাবাসী বাঁচতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে সিলেট বন বিভাগের জিএম আবু বকরের নির্দেশে গত ২ ডিসেম্বর ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জামতলায় আসেন। তারা মহল্লাবাসীকে বলেন, বানরকে আপনারা কোন ধরনের খাবার দিবেন না। আমাদের পক্ষ থেকে একটি খাচা দোবো। নিজ দায়িত্ব আপনাদেরকে বানর ধরতে হবে। ধরে আমাদেরকে খবর দিয়ে বানর নিয়ে যাবো। তবে আপনাদেরকে সর্তক থাকতে হবে যাতে বানরগুলো দলবদ্ধ হয়ে আক্রমন না করে। মহল্লাবাসী বানর ধরা জন্য বন বিভাগের সহযোগিতা চাইলে, প্রতিনিধিদল বলেন, বন অফিসে জনবল সঙ্কট।
এ ব্যাপারে জামতলার বাসিন্দা বায়জিদ খান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ বানরের আক্রমণ ও অত্যাচারে আতঙ্কের মধ্যে আমরা দিন কাটাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৩ স্কুল শিক্ষার্থীকে বানর কামড়িয়েছে। বড়দেরকেও কামড় দেয়া চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় বানর আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
আলাপকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সান্তুন দত্ত সন্তু বলেন, জামতলায় শিক্ষার্থীকে বানর কামড় দিয়েছে বলে শুনেছি। ওয়ার্ডবাসীর জানমালের নিরাপত্তা দেয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব। কারণ আমি তাদের জনপ্রতিনিধি। কিন্তু সিসিকে বানর ধরার কোন যন্ত্রপাতি নেই। থাকলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতাম। বিষয়টি বন বিভাগকে জানাতে মহল্লাবাসী বলেছি। বিজ্ঞপ্তি