স্টাফ রিপোর্টার :
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন সিলেট সদর উপজেলার ৭ নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হিরণ মিয়া। সম্প্রতি সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ‘বিএনপি’ সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ ওঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি তার। এজন্য তিনি চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন।
শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হিরণ মিয়া। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পর গত ২৪ নভেম্বর সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও দাবির মুখে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়। ওইদিন বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিলর তালিকা ত্র“টিপূর্ণ হওয়ায় সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ। পরদিন আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই মূলত ‘মিথ্যাচার’ শুরু হয়।
তিনি বলেন, কমিটিতে নাম আসার পরপরই জামাত-শিবিরের মদদপুষ্ট কুচক্রী মহল তখন সক্রিয় হয়ে উঠে। তারা আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করতে থাকে। এমনকি আমায় ‘যুক্তরাজ্য বিএনপির ক্রয়ডন শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক’- বলেও রটনা শুরু করে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, আমি কোন দিন আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল করিনি। তবে তাদের মিথ্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের কারণে সৃষ্ট বিতর্ক এড়াতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কমিটি স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে আরেকটি কমিটি ঘোষণা করে। এতে তিনি মিথ্যাচারের কাছে পরাজিত হয়েছেন বলেও দাবি করেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জামাত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষক শামসুল ইসলাম টুনুসহ এই চক্রটি তৎপর হয়ে তাদের পকেট কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়েই তথ্য সন্ত্রাস ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত করেছে তাকে। তবে তিনি (হিরণ) আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আজীবন কাজ করে যাবেন, কিন্তু ষড়যন্ত্রের কাছে কখনো মাথানত করবেন না। একই সাথে তিনি তথ্য সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করে যারা আমার মানহানি করেছে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করেছে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির উদ্দিন আহমদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আক্তার আলী, আলতাব হোসেন, আনোয়ার মিয়া, রনজিত দত্ত, আজমল হোসাইন, এস এম তারা মিয়া, জামাল আহমদ প্রমুখ।