ছাতকে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ডাকাত নিহত, এএসআইসহ আহত ৬

9
ছাতকে পুুলিশের সাথে গোলাগুলিতে নিহত ডাকাত লক্ষণধর আলী ও উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্র।

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে পুলিশ ডাকাতের আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে পাল্টা পাল্টি বন্দুক যুদ্ধে লক্ষণধর আলী (৩০) নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়। সোমবার ভোর রাতে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লক্ষণধর আলী উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের জিয়াপুর হবিপুর গ্রামের কলমদর আলীর পুত্র। গত রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে হবিপুর গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন হাওর থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সিংচাপইড় ইউনিয়নের হবিপুর গ্রামের মৃত কলমদর আলীর পুত্র। অভিযানে এএসআই বাচ্চু মিয়া, এএসআই আব্দুল মান্নান, এএসআই রেজাউল করিম, এএসআই মহিবুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স অংশ নেন। তার বিরুদ্ধে জিআর-১১৭/১৬, জিআর-৩০/১১, জিআর-১১/১৮, জিআর-১২/১৮, জিআর-৮৭/১৩ এর ডাকাতি ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহিরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার স্বীকারোক্তিতে ব্যাপক অস্ত্রের সন্ধান পেয়ে তার আস্তানায় অভিযান শুরুর আগে পুলিশের হাত থেকে ডাকাত লক্ষণধর আলী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ডাকাতরা পুলিশের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে ডাকাত নিহত হয়েছেন। তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে ভোরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ সময় তার অপর সঙ্গীরা পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় এএসআই শাহ জামাল ও এস শাহাবুদ্দীন সহ ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত অবস্থায় তাদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তফা কামাল জানান, ডাকাতদের আস্তানা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর আগে ডাকাতরা তাদের উপর হামলা করে এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টাগুলি ছুঁড়লে এক ডাকাত আহত হয় পরে হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ছাতকে আতঙ্কের এক নাম ছিল ডাকাত সর্দার লক্ষণধর আলী (৩৫)। তার বাড়ি উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের জিয়াপুর হবিপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি অস্ত্র একডজন মামলার পলাতক আসামী লক্ষণধর আলী।
থানা সূত্রে জানা যায়, ডাকাত সর্দার লক্ষণধর আলী সিলেট সুনামগঞ্জ সহ আন্তজেলা ডাকাতদলের সাথে যুক্ত ছিলে। থানায় তার বিরুদ্ধে একডজন মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাতে ছাতকে বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার লক্ষণধর আলীর মৃত্যুর খবর শুনে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তার মৃত্যুতে এখন মানুষের আতঙ্ক কিছুটা কমবে। ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত সর্দার লক্ষণধর আলী নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতির সব ঘটনায় সে জড়িত ছিল। তা নামে ছাতকে এক আতঙ্ক ছিল। এখন সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডাকাত লক্ষণধর আলী মরদেহ গ্রহণে তার পরিবার সদস্যরা সুনামগঞ্জ গেছেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদশন করেছেন। এলাকাবাসি জানান, গত সোমবার রাতে ঘন্টা ব্যাপি গোলাগুলি বন্দুক যুদ্ধে শব্দে গ্রামবাসী ঘুম ভেঙ্গে গেছে।