ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থলে তদন্ত কমিটি

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে রেল মন্ত্রণালয়ের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা মন্দবাগ রেলস্টেশনে আসেন। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রেল মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-৪) মীর আলমগীর হোসেন, রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক (অপারেশন) মোছাঃ রাশিদা সুলতানা গণি ও রেলওয়ের প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশপাশি মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে স্টেশনের প্যানেল বোর্ড ও রেজিস্টার থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা জানিয়েছে এই কমিটি।
অপমৃত্যু মামলা দায়ের : এদিকে জেলার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ২টি ট্রেনে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আখাউড়া জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আখাউড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কান্তি দাস জানান, মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে নির্ধারিত ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান, আমরা আহতদের চিকিৎসায় সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিচ্ছি। সে সঙ্গে তদন্তের কাজও চলছে। এদিকে সংঘটিত দুর্ঘটনায় আহতদের রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান ও খোঁজ-খবর নিতে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তিনি রেলওয়ে বিধিমোতাবেক আহত প্রত্যেকের জন্য ধার্যকৃত দশ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা তুলে দেন। তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের জন্য রেলমন্ত্রীর ঘোষিত ১ লাখ টাকা অল্প সময়ের মধ্যেই তুলে দেয়া হবে।