জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর হাতে বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি ও বিশ্বনাথ ইউনয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্বনাথ থানার বিপরীতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর মার্কেটের দ্বিতীয়তলার সরু রাস্তায় জালাল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে জুতা পেটা করে লাঞ্ছিত করেন সুহেল চৌধুরী। সুহেল চৌধুরী গ্র“পের নেতাদের দাবি, সম্প্রতি বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির সুহেল চৌধুরী গ্র“প ও জালাল উদ্দিন গ্র“পের নেতাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় দু’গ্র“পের নেতাদের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সুহেল চৌধুরী গ্র“পের নেতারা বিশ্বনাথ পুরান বাজারে আর জালাল উদ্দিন গ্র“পের নেতারা বিশ্বনাথ নতুন বাজারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনার মোকাবেলা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরী সভা করেছেন জালাল উদ্দিন পক্ষের নেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনার উপস্থিতিতে বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ৮ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অভিযোগ উঠে স্থানীয় এমপি গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানের সঙ্গে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের সখ্যতার বিষয়। যে কারণে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর এতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গউছ খানকে আহবায়ক করে ২২ সদস্যের একটি খসড়া কমিটি গঠন করে জেলায় পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী ও বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তারা দু’জনের কেউই মোবাইল রিসিভ করেন নি।
তবে, জালাল উদ্দিন গ্র“পের নেতা বিশ্বনাথ বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জেনেছেন। আর এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বৈঠকও করছেন। তবে বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সিদ্ধান্ত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্বনাথ বিএনপির নবগঠিত কমিটির সম্ভাব্য আহবায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গউছ খান কমিটি গঠন ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, লাঞ্ছিত করার বিষয়টি তিনিও বৃহস্পতিবার সকালে জেনেছেন। তিনি বলেন, যারা গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খানকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করে তারা বিএনপির হতে পারে না। তাই সুহেল চৌধুরীসহ তার গ্র“পের নেতাদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি তাকে (গউছ খানকে) আহবায়ক করে ২২ সদস্যের একটি কমিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, এ বিষয়টি তার জানা নেই, আর এখন পর্যন্ত বিএনপির কোন পক্ষই মামলা কিংবা জিডি করতে থানায় আসেনি।