কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে স্কুলচাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।
(৪ সেপ্টেম্বর) সোমবার সন্ধ্যা ৮টায় কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওছার দস্তগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী গত ২৪ অক্টোবরের ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সেটা ধর্ষণের চেষ্টা মাত্র। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজারের পুরিশ সুপার ফারুক আহমেদ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করেন। তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন। তবে স্পট দেখে মনে হয়েছে জায়গা ধর্ষণ করার মত না।
গত ২৮ অক্টোবর ডিএনএ টেস্টের জন্য সেম্পুল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গত ১ নভেম্বর ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট কুরাউড়া এসে পৌঁছায়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ভিক্টিমের বুকে একটা দাগ রয়েছে। তবে ধর্ষণ করার মত কোন আলামত নেই। বুকের দাগটি গাছের ডালের ক্ষতও হতে পারে।
তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষার্থী ঘটনার পর থানায় এসে বলেছে তাকে খারাপ কাজ করার চেষ্টা করেছে। ফলে থানা পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার মামলা নেয়। পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার মামলা নিলেও পরবর্তীতে ধর্ষণের ধারা সংযুক্ত করা যায়। স্কুল ছাত্রী ২২ ধারায় আদালতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি জানান, আদালতে অনেকে অনেক কথাই বলতে পারে। ধর্ষণ সংক্রান্ত রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওছার দস্তগীর।