সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করে দেশকে করদরাজ্য বানানোর জন্যই বিরাজনীতিকরণ, হত্যা ও জিঘাংসার পথ বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশের সবুজ জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী নেতৃত্ব নির্র্মূল করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে সরকার এরই মধ্যেই জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে শহীদ করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকেও হত্যার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।’ একের পর এক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে শহীদ করে দেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র সফল হবেনা।
শুক্রবার বাদ জুম্মা কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে দেয়া অন্যায় মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় আপীলে বহাল রাখায় এবং দ্রুত মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মাহফিলে ফরমায়েসী মৃত্যুদন্ডাদেশের রায়ে কারান্তরীণ এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও মাহফিলে কারান্তরীণ জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান ও আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি কামনা এবং দেশ জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন ও মোঃ ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, জামায়াত নেতা মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা আব্দুল মুকিত, মাওলানা মশাহিদ আহমদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির সিলেট মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি