পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় ॥ সকলের প্রচেষ্টায় সফল হবে সিলেটের রবীন্দ্র স্মরণোৎসব

14

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটবাসীর আমন্ত্রণে ‘শ্রীভূমি’ সিলেটে এসেছিলেন ১৯১৯ সালের নভেম্বরে। ২০১৯ সালে এর শতবর্ষপূর্তি হচ্ছে। সিলেটবাসীর জন্য পরম স্মরণীয় সেই স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাই সিলেটে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ: শতবর্ষ স্মরণোৎসব’।
উৎসবে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য সিলেটের পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে উৎসব উদযাপন পর্ষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের সভাকক্ষে পর্ষদের যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশ^কবির সিলেটে আগমণের শতবর্ষ উদযাপনে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই অনুষ্ঠান কারো একার নয়, পুরো সিলেটের, পুরো দেশের। তাই এই অনুষ্ঠান সফলে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। তারা বলেন, এই অনুষ্ঠান নিয়ে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে সারাবিশে^ এই অনুষ্ঠানের খবর ছড়িয়ে পড়বে। এতে বিশ^জুড়ে সিলেট শহর আরো উচ্চ পর্যায়ে অধিষ্টিত হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফলভাবে সম্পন্ন হবে এই উৎসব।
এসময় সিলেটের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠান সফলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সভায় মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মুজিবুর রহমান, বিএমএ কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. মো. ইহাতেশামুল হক চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আজিজ আহমদ সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, বাকবিশিস প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ ভাস্কর রঞ্জন দাস, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল চৌধুরী নাদেল, সিলেট চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এ টি এম শোয়েব, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডা: সভাপতি আফজাল রশিদ চৌধুরী, সিলেট ইউমেন্স চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, ওয়াকার্স পার্টির সাধারল সম্পাদক মো: সিকন্দর আলী, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মারিয়ান চৌধুরী, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদারুল আলম চৌধুরী নবেল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুনির্মল কুমার দেব মীন, সংস্কৃতিকর্মী ডা. নাজরা চৌধুরী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান জামিল, বাপা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কীম, আইডিবিইবি সভাপতি মো. নজরুল হোসেন, বাকবিশিস এর সহ-সভাপতি হিমাংশু রঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস, পরিবেশ হাওর উন্নয়ন সংস্থা সভাপতি কাসমির রেজা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক মামুন কিবরিয়া সুমন, হুমায়ুন আহমদ, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের পরিচালক লুবনা ইয়াসমিন, বাকবিশিস সভাপতি অজয় কুমার রায়, সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৫ নভেম্বর কিন ব্রীজ চত্বরে এবং ৭ ও ৮ নভেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হবে অনুষ্ঠানের মূলপর্ব। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে কবিগুরুর স্মৃতিবিজরিত স্থানগুলোতে হবে নানান ধরনের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানস্থল সমূহে বিএমএর’র পক্ষ থেকে থাকবে এম্ব্যুালেন্স ও মেডিকেল টিম, রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে থাকবে স্বেচ্ছাসেবক, প্রাথমিক চিকিৎসা ও ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প। এছাড়া অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির জন্য স্টেডিয়ামে কক্ষের ব্যবস্থা করবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আর স্টল বরাদ্দ পেলে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনে সহযোগিতা করবে সিলেট উইমেন চেম্বার।
আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি