ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলন ॥ ঐতিহ্যবাহী কাজিরবাজারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্র চলছে

13
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখছেন সিলেট সদর মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড কাজিরবাজারের সভাপতি হাজী ফয়জুল হক।

স্টাফ রিপোর্টার :
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজিরবাজারের ঐতিহ্য ও সেক্রেটারী হাজী জাহাঙ্গীর আলমের সুনাম ক্ষুন্ন করতে শেখঘাটের রুবেল আহমদ মিথ্যাচার করছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি করেন। এ সময় তারা বলেন, ব্যক্তি আক্রোশের কারণে জনপ্রিয় কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিলেট সদর মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড কাজিরবাজারের সভাপতি হাজী ফয়জুল হক। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমাদের দাদারা ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীরা ১১৫ থেকে ১২০ বছর পূর্বে বাজার প্রতিষ্ঠাতা করেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে অবগত আছেন। রুবেল আহমদ বাজার প্রতিষ্ঠা নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করেছেন। রুবেল আহমদ সহ তার কয়েক জন সহযোগীরা নানা অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বাজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে।’ তিনি বলেন- ‘হাজী জাহাঙ্গীর আলম ও সিকন্দর আলী ঐতিহ্যবাহী সিলেটের কাজিরবাজারের ঐতিহ্য ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে চলেছেন। তারা সব সময় নিজেদের স্বার্থের চেয়ে বাজারের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও হাজী জাহাঙ্গীর আলমের প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের মৎস্য আড়তের ঐতিহ্যবাহী স্থান ফিরে পেয়েছি। একটি কুচক্রী মহল কাজিরবাজার ব্রীজ নির্মাণের সময় বাজারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে মেতে উঠেছিলো। ওই সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ওই সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের আর্তনাদ শুনে পূর্বের স্থানে বাজার নিয়ে আসেন। আর এতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও হাজী জাহাঙ্গীর আলম।’
বাজারের কোনো জায়গা রেদওয়ান আহমদ বাপ্পী দখল করেননি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন- ‘কাজিরবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির ৭ শতক জমি রয়েছে। এই জায়গা সমিতির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বাপ্পী এই জায়গায় দু’তলা বাসা নির্মাণ তো দূরের কথা কখনোই জায়গা দখলের মনোভাবও পোষন করেননি। মনগড়া এই বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বরফকল নিয়ে রুবেল আহমদ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। সমিতির নামীয় বরফকল মাসিক ৪০ হাজার টাকা ভাড়ায় সমিতির সদস্য হাজী হোসেন আহমদ ভাড়া নিয়েছেন। ভাড়ার টাকা প্রতিমাসে সমিতি তহবিলে জমা হচ্ছে।’ তারা বলেন- আমাদের সমিতি বিগত ১৯৯৮ ও ২০০২ সালে সমিতি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা সব সময় অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তবে- বাজারের নিকটবর্তী কাঁঠালহাটা, মুচিপট্টিসহ কয়েকটি এলাকার নানা অপকর্মের দোষ এসে পড়ে বাজারের উপর। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সহ-সভাপতি সালমান আরফিন, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল হক, ডিরেক্টর শিপু মিয়া, সদস্য হাজী সামছুদ্দিন, হাজী মখলিছ মিয়া, হাজী হোসেন আহমদ, মুহিব উদ্দিন জামাল, নিজাম উদ্দিন, মকবুল হোসেন, হাজী লিটন আহমদ, আনাছ মিয়া, কামরুল হাসান, মালাই মিয়া প্রমুখ।