সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুই মামলা, আরমানও একটির আসামি

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ক্যাসিনো সম্রাট যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব। এরমধ্যে মাদক মামলায় সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে। এক সময় চোরাই পথে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে আনা মালামাল বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দোকানে দোকানে ফেরি করে বিক্রি করত আরমান। যুবলীগের পদ পেয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায় রাতারাতি। এদিকে আরমানের মিরপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। বাড়ি থেকে কিছু জমির দলিলপত্র ও ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে। আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোপূর্বে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করছে র‌্যাব। সেই ধারাবাহিকতায়ই সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুটো মামলারই তদন্তভার র‌্যাব পাচ্ছে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। ক্যাসিনোর আরেক সম্রাট খালেদ মাহমুদ ও সেলিম প্রধান, টেন্ডার কিং জি কে শামীম এবং সর্বশেষ গ্রেফতারকৃত সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে র‌্যাব-১ এর উপসহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন। রমনা থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দু’টি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলার আলামত তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের সঙ্গে আলামত আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে সোমবার মিরপুর-২ এর ই- ব্লকের একটি ১০তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রী বিথী বেগমের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-৪ এর একটি দল। সোমবার দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, অভিযানকালে দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ ছিল। তালা ভেঙ্গে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সেখান থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দলিল ও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের চেক বই পাওয়া গেছে। জব্দ হওয়া দলিলগুলোর মধ্যে দশটি আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে। আর দুইটি দলিল আরমানের নামে। আরমানের দ্বিতীয় স্ত্রীকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে পাওয়া গেলে আরমানের সহায় সম্পদ ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।