মন্ডপে মন্ডপে ভাসছে পূজার আনন্দ, আজ মহানবমী

8

স্টাফ রিপোর্টার :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সিলেটে পূজার আনন্দে ভাসছে। হাজারো প্রাণের কোলাহল আর উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রতিটি পূজামন্ডপ। আজ সোমবার মহানবমী।
নবমী দিবা ঘ: ০৩/৩৪ মি: পর্যন্ত। দিবা ঘ: ০৭/৩০ মি: মধ্যে পূর্ন: দিবা ঘ: ০৮/০৮ মি: গতে ঘ: ০৯/৫৭ মিনিটের মধ্যে শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর কেবল মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবী বিহিত পূজা প্রশস্তা। পূজা শেষে প্রতিটি মন্ডপে দুপুরের পর থেকে শুরু হবে মহা প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যার পর থেকে আরতী ও পরে শুরু হবে ভক্তিমুলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল রবিবার মন্ডপগুলোতে মহাঅষ্টমীর দিন দুপুর ২টা ২৭ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ১৪ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা বা কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, এবার নগরীর মেট্রোপলিটন এলাকাসহ সিলেট বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের মোট ২ হাজার ৬৩৬টি পূজা মন্ডপে ৪ অক্টোবর থেকে কাল মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিজয়াদশমী পূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫দিন ব্যাপী এ দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় ৬০৫ টি মন্ডপ, সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলায় ৩৯০টি মন্ডপ, হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৪৫টি মন্ডপ ও মৌলভীবাজার উপজেলার ৬টি উপজেলায় ৯৯৬টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে, দুর্গোৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে জেলাব্যাপী জোরদার করা হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুরাণে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এ অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হয়েছে এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
পঞ্জিকা মতে, গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, সায়ংকালে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস হয়। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে ষষ্ঠী তিথির সূচনা ঘটে। তাই শুক্রবার সকালের মধ্যেই বেল গাছের নিচে পালন করা হয় বিল্ল ষষ্ঠী। সন্ধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় দুর্গার আয়ত চোখের পলক। জেগে ওঠেন দশভূজা। অসুরবধে চক্র, গদা, তীর, ধনুক, খড়গ-কৃপাণ-ত্রিশূল হাতে মাতৃরূপে অসুরদলনী দেবী ওঠেন হেসে। মন্দিরে মন্দিরে পূজার মন্ত্রোচ্চারণ, ধূপ-ধুনোয় ভক্তদের নৃত্য আরতি, ঢাক-ঢোল, কাঁসর-মন্দিরার পাশাপাশি মাইকের আওয়াজ আর বর্ণাঢ্য আলোকচ্ছটায় জেলার পূজামণ্ডপগুলো উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সপ্তমী তিথির পর গতকাল রবিবার (৬ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা, অষ্টমীর দিন দুপুর ২টা ২৭ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা ১৪ মিনিটের মধ্যে সন্ধিপূজা বা কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। কাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে পূজা সমার্পণ ও পরে দর্পণ বিসর্জন-শান্তিজল গ্রহণ।
মন্দিরের পুরোহিতরা বলেছেন, এবার মা দুর্গা এসেছেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে। যাবেনও ঘোড়ায়। এ কারণে ঝড় ঝাপটার আশঙ্কা আছে। তাই মা দুর্গার প্রতি এবার আমাদের বিশেষ প্রার্থনা থাকবে-প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়।