কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির ১নং ওয়ার্ডের লালারচক গ্রামের প্রায় ১৭’শ ফুট দের্ঘ্য ইটসলিং রাস্তায় নতুন করে নির্মান করার জন্য পুরনো ইট তোলে বিক্রির ঘটনায় স্থানীয় বর্তমান ইউপির সদস্য নুরুল ইসলাম কালার বিরুদ্ধে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়েরের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবারো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লালারচক গ্রামের চলাচলের পুরোনো রাস্তার ইট কেলেংকারী নিয়ে এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন তারা। অভিযোগে জানা যায় উক্ত রাস্তা নতুন করে নির্মান করার জন্য বিগত ২২/০৮/২০১৮ইং তারিখে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম কালা ওয়ার্ডের লোকজন কে একত্রিত করেন। পরে তিনি রাস্তা নতুন করে কাজ করার নামে রাস্তার পুরোনো ইট গুলো কুলে ফেলে গোপনে বিক্রি করে অনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অদ্যাবধি পর্যন্ত রাস্তার মাটি খুড়ে কাজ না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় ০৯/০৭/২০১৯ইং তারিখে ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে লিখিত দরখাস্ত দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করার উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াজ মাহমুদ কে নির্দেশ দেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াজ মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে ওয়ার্ডের প্রায় শতাধিক লোকজন রাস্তার কাজ না করে পুরোনো ২০ লক্ষ টাকার মূল্যের ইট আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের কালা এর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন। ইউএনও বরাবরে গত বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডবাসীর পক্ষে বদরুল আলম, মাসুক মিয়া বাদী হয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রকৌশলী রিয়াজ মাহমুদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ইউএনও কর্তৃৃক সরজমিনে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী বদরুল আলম ও মাসুক মিয়া অভিযোগ তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় তাদের কে হয়রানী করার জন্য ইউপি সদস্যের সমন্দিক লালারচক গ্রামের এনাম উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে ২২ জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো দরখাস্ত মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন রাস্তার পুরাতন ইট কেলেঙ্কারী নিয়ে গত রমজান মাসে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয় এতে কয়েকজন আহত হন। তবে ইউপি নুরুল ইসলাম কালা মিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি রাস্তার কোন ইট বিক্রির সাথে জড়িত নয়।