ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
বরগুনার বহুল আলোচিত মিন্নী এখন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা অবস্থান করছেন। আর মিন্নিকে ঘিরে কৌতুহলী এলাকাবাসীদের ভিড় দেখা যায় হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ড এলাকায়। বহুল আলোচিত রিফাত হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বেড়াতে এসেছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার গ্যাস ফিল্ডে। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন, খালাসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিয়ে গত বুধবার ঢাকা থেকে সরাসরি চলে আসেন মিন্নির খালাতো বোন জামাই হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের প্রডাকশন ম্যানেজার জাকির হোসেনের বাসায়।
শুক্রবার সকালে গ্যাস ফিল্ডের স্টাফ কোয়ার্টারের বণবীথি বিল্ডিং এর বাসার ২য় তলায় গিয়ে জাকির হোসেন ও মিন্নির পিতা মোজাম্মেল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মুহিত কামাল ও ঢাকা আইন শালিস কেন্দ্রের নিয়োগকৃত চিকিৎসদের পরামর্শে মিন্নির মানসিক রি-ফ্রেসম্যান্টের জন্য এখনো নিয়ে আসা হয়। এখানে এসে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন আক্কাছ মিয়ার মালিকানাধীন টিহান কফি হাউজে গিয়ে কফি পান করে পরবর্তিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে গ্যাস ফিল্ডের ৬ এবং ৭নং কূপ এলাকার চা বাগানে ঘুরতে গিয়েছিল। গতানুগতিক পরিচিত পরিবেশের বাইরে ভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে মানসিক প্রশান্তির জন্য এই ঘুরতে আসা বলে মিন্নির বাবা জানিয়েছে। জামিনের শর্তে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলা নিষেধ থাকায় তার সাথে ঘটনা সম্পর্কে কোন কথা বলা যায়নি। মিন্নির বাবা আরো জানান-আগামী ৩ অক্টোবর বরগুনা আদালতে রিফাত হত্যাকান্ডের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। চার্জের আগেই তারা এলাকায় ফিরে যাবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। অথচ এর আগে মিন্নি একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দায়েরকৃত এজাহারে ছিল। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে ঢাকার একটি আইনজীবী দল বরগুনায় গিয়ে মিন্নীর জামিন আবেদন করেন। পরে সেখানে জামিন নামঞ্জুর হলে তারা হাইকোর্টে জামিন লাভ করেন। এরপর থেকে আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নী অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। গত বুধবার রাতে তারা স্ব-পরিবারে হবিগঞ্জের মাধবপুওে বেড়াতে আসেন মিন্নি।