শিক্ষক ও ভবন সংকটে স্থবির দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পশ্চিমভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ে ১১০ জন শিক্ষার্থীর বিপরিতে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। সহকারী শিক্ষিকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। শিক্ষক ও ভবনের সংকটের বিষয়ে বার বার ঊর্ধ্বন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সরজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিমি দূরে ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত লালাবাজার ইউনিয়নের ৩৪নং পশ্চিমভাগ (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থান। লালাবাজার ইউনিয়নের সবচেয়ে প্রাচীন এ বিদ্যালয়ে একটি পাকা ও একটি টিন সেড ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের পুরনো একটি ভবনকে সংস্কার করে তাতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার এবং প্রাক প্রাথমিক শাখার জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় টিন সেড ভবন এবং ২০০৬ সালে নির্মিত ভবনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। একজন সহকারি শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় দুইজন শিক্ষক দিয়েই আপাতত পাঠদান চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৃথক দুই অধিবেশনে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে প্রথম অধিবেশনে পাঠদান করা হয় শিশু শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আর দ্বিতীয় অধিবেশনে পাঠদান করা হয় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টিতে ধর্মীয় শিক্ষক নেই দীর্ঘদিন যাবৎ। ফলে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি রাণী দে বলেন, গত বছর প্রধান শিক্ষক অন্যত্র বদলী হলে পদটি আজ পর্যন্ত শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পাঠদান সহ অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম আমাকেই সম্পন্ন করতে হচ্ছে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। বিজ্ঞপ্তি