মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) বলেছেন, ‘আমার পুলিশ দিয়ে কোনো মানুষ অন্যায়ভাবে যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমার পুলিশ দ্বারা যদি জনগণের কোনো ক্ষতির খবর পাই; তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল মানুষ জেলা সদরে আমার কাছে অনেক সময় যেতে পারবে না। তাই থানা হবে জনগণের আশ্রয়স্থল, জনগনের সেবা কেন্দ্র। থানায় জিডি ও মামলা করতে একটি পয়সা যেন খরচ না হয়। খুব শিগগিরই প্রত্যেক থানায় অফিসারের রুমে সিসিটিভি থাকবে। থানার প্রতিটি কর্মকান্ড আমার অফিসে বসে মনিটরিং করতে চাই। ‘১৬ বছরের চাকরি জীবনে ১৬ পয়সাও ঘুষ খাইনি। সরকারি বেতনের টাকায় চলি। সুতরাং আমার নামে কেউ জনগণের কাছ থেকে পয়সা নিতে পারবে না। এই ম্যাসেজটা সবার কাছে পৌঁছাবেন। কিভাবে কাজ করতেছি।’
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হয় মাদক ছাড়ো; না হয় মৌলভীবাজার ছাড়ো। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গোপনে মাদক সক্রান্ত সকল তথ্য কালেকশন করেছি। মৌলভীবাজার জেলায় একটি গ্রামকে সম্পন্নভাবে মাদক মুক্ত করে যেতে পারি তাহলে চাকুরী জীবনে সেটাও একটা বড় প্রাপ্তি।’
সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে জানিয়ে পুলিশ সুপার আরও বলেন,‘অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে। আপরাধী যেই হোক সে অপরাধী। সে কোন দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। মাদকের তালিকা মোটামুটি শেষের পথে। তালিকা অনুযায়ী জনগণের সহায়তায় দ্রুত সময়ে অপরাধীদের সনাক্ত করা যায়।’
সমাবেশে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেকের সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মো.সোহেল রানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, পৌর মেয়র মহসীন মিয়া মধু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আনোরুল হক,শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম।