স্টাফ রিপোর্টার :
তিন সহযোগিসহ সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পিযুষকান্তি দেকে (৪০) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম (এমএম-১) আদালতের বিচারক জিহাদুর রহমান পিযুষসহ ৪ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় পিযুষের আইনজীবীরা তার চিকিৎসার আবেদন জানালে আদালত জেল সুপারের মাধ্যমে কারাগারে চিকিৎসার ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। গ্রেফতারকৃত পীযুষ ছাড়া আটক অন্যরা হচ্ছে, নগরীর মনিপুরী রাজবাড়ীর মৃত আশ্বিনী কুমার পালের পুত্র বাপ্পা পাল (৪২), রামেরদিঘীর পারের মৃত পরেশ রায়ের পুত্র মন্টি রায় (৪২) ও জেলার গোলাপগঞ্জের রানীখাইলের রুস্তম খানের পুত্র রায়হান খান জুয়েল (২৫)।
এর আগে পীযুষসহ তার আরো তিন সহযোগীসহ গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় পিযুষের আস্তানা ঘেরাও গ্রেফতার করে র্যাব-৯। পরে পীযুষসহ ৪ জন আটক হয়েছে গণমাধ্যমামে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও র্যাবের সাথে যোগাযোগ করলে তারা গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে এ সময় র্যাব একটি রিভলবার, রামদা এবং ৫ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
পিযুষ কান্তি দে’র আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পূজন বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় পিযুষসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই আমরা চিকিৎসার আবেদন জানালে আদালত জেল সুপারের মাধ্যমে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, পীযুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার ও তিনটি রামদা জব্দ দেখানো হয়েছে। এছাড়া তার কাছ থেকে ৫ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদক আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি বলেন, মামলায় তার সঙ্গে আটক তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি আরো একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পিযুষ কান্তি দে। এরপর ছাড়া পেয়ে ফের নানা কর্মকাণ্ডে নগরীজুড়ে আলোচিত ছিলেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি নগরীর জিন্দাবাজারে তিন প্রবাসীকে মারধরের ঘটনাতেও তাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অবশেষে গত বুধবার ফের র্যাবের হাতে আটক হন আওয়ামী রাজনীতির বিতর্কিত এই নেতা। পিযুষ কান্তি দে’র বিরুদ্ধে ১৬ টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।