জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
কাজ বন্ধ হওয়ার ২৩ দিন পর বিশ্বনাথ উপজেলার পুরানগাঁও গাছতলার সেই মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদানকারী পুরানগাঁওয়ের জয়নাল আবেদীন কুদ্দুস, গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষসহ পাঁচ গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ওই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বাঁশ দিয়ে ওই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এর আগে থানায় মসজিদ নির্মাণের বিপক্ষে লিখিত অভিযোগ করায় গত ১৮ আগষ্ট রবিবার দুপুরে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় থানা পুলিশ। ওইদিন থানা পুলিশের এসআই দিদার আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদেও কাজ বন্ধ করে দেন। আর মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ কার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরই শুরু হয় উত্তেজনা। দেখা দেয় সংঘর্ষের আশংকাও। গ্রামের পঞ্চায়েত পক্ষের নেতা পুরানগাঁওয়ের বাসিন্দা ও রামপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশ্রব আলী এবং জয়নাল আবেদীন কুদ্দুস পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ বিষয় নিয়ে দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকাসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের। পরবর্তিতে দফায় দফায় বৈঠক করার পর অবশেষে গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে গাছতলায় বৈঠক করেন পাঁচ গ্রামবাসী। গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরাইর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে পুরনাগাঁও, পুরানগাঁও গাছতলা, বিশঘর, আনরপুর, ইলামেরগাঁওয়ের প্রবীণ ব্যক্তিবর্গরা অংশ নেন। এ সময় মসজিদ নির্মাণের জন্য সকলের সমন্বয়ে ১৩ সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। আর ওই কমির প্রধান উপদেষ্টা করা হয় বিশঘর গ্রামের বাসিন্দা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলীকে। আর বাকি ১২ সদস্যের মধ্যে ৪নং সদস্য করা হয় বাধা প্রদানকারী জয়নাল আবেদীন কুদ্দুসকে।
মসজিদ নির্মাণ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, ৪/৫ গ্রামবাসীর সমন্বয়ে বৈঠকের মাধ্যমে আগের বিরোধ নিষ্পত্তি করে মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুরানগাঁও পঞ্চায়েত পক্ষের নেতা আশ্রব আলী ও প্রতিপক্ষ মসজিদ কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন কুদ্দুস এ প্রতিবেদককে বলেন, সমঝোতার ভিত্তিতে মসজিদ নির্মাণে তারা এখন ঐক্যবদ্ধ।