স্টাফ রিপোর্র্টার :
সিলেটের ব্যবসায়ী শামসুল মাওলার দায়ের করা চেক ডিজওনারের তিনটি মামলায় বহুল আলোচিত সাহেদ করিমকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণার মামলায় তদন্ত করে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয় হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাহেদ করিমকে চেক ডিজওনারের ৩ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে, সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার পাথর ব্যবসায়ী ‘মাওলা স্টোন ক্রাশার মিল’র সত্ত্বাধিকারী শামসুল মাওলা আদালতে ৩টি চেক ডিজওনার ও ১টি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে সাহেদের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেছিলেন ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা। ব্যবসায়ী মাওলা সাহেদ করিমের কাছে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো। সেই পাওনা টাকার বদলে সাহেদ করিম ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ৩টি চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার বাদী টাকা পাননি। পরে তিনি চেক ডিজওনার মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ লাখ টাকার একটি ভুয়া চেক দিয়ে (চেক নম্বর- ৯০২৬৪৬৩০) শামসুল মাওলার কাছ থেকে পাথর কিনে নেন সাহেদ। পরবর্তীসময়ে ওই চেকটি অন্য একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতীয়মান হয়। এজন্য আদালতে মাওলা বাদী হয়ে আরেকটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও আত্মসাৎ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জৈন্তাপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, গত বছরের ৪ মার্চ সাহেদের বিরুদ্ধে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেকের বিপরীতে তিনটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন সিলেটের ব্যবসায়ী শামসুল মাওলা।
গত ৮ নভেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের ওই ৩ মামলার শুনানিতে বাদী পক্ষের আইনজীবী সাহেদকে এই গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে ঢাকা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সাহেদকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়।