মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে ৩টি সড়কের বেহাল দশায় জন ভোগান্তি বেড়েছে। এসব সড়কের মেরামতের দাবিতে অনেক আন্দোলন করেছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে সাময়িক মেরামত কাজ হওয়ায় বর্তমানে কোন রকমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়া ১টি সড়কে কাজ শুরু হলেও আরেকটি সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
গত প্রায় ২ বছর ধরে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত কয়েক মাস আগে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শুরু হয় সড়ক মেরামতের দাবিতে আন্দোলন। অবশেষে জনতার আন্দোলনের মুখে ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ি বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে সাময়িক মেরামতের কাজ শুরু হয়। তবে অকাল বন্যায় তলিয়ে যায় জগন্নাথপুর উপজেলার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। যে কারণে সড়ক মেরামতের কাজ থেমে যায়। বন্যায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবারো সড়কে সাময়িক মেরামতের কাজ হয়। বর্তমানে কোন রকমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে স্থায়ী ভাবে কাজ না হলে আগামী কিছু দিনের মধ্যে আবারো সড়কটি ভেঙে বেহাল দশায় পরিণত হতে পারে বলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা জানান।
৩০ আগষ্ট শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, এখনো জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন রয়েছে। ভাঙাচোরা সড়কের ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ি বাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে ইতোমধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাময়িক কাজ করা হয়েছে। তবে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী মেরামত কাজ আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন হতে পারে। অনুমোদন হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া জগন্নাথপুর পৌর এলাকার হবিবপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে ২টি রাস্তার মধ্যে ১টিতে কাজ শুরু হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে অপর রাস্তায় কাজ শুরু হবে।