আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে রাস্তার কাজে অনিয়মে বাধা দেয়ায় দু’ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত ২জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও ও মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এ সঘর্ষের ঘটনা।
জানা যায়, শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও রাস্তার কান্দিগাঁও-গদারমহল অংশ সাইড ভরাটসহ পাকাকরণ কাজের মুল ঠিকাদার নুরুল ইসলামের কাছ থেকে কাজটি চুক্তি ভিত্তিক ক্রয় করে আনেন মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দ মাফিজ আলী। কান্দিগাঁও গ্রামবাসীর অভিযোগ শুরু থেকেই অনিয়মের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন মাফিজ আলী। গ্রামের মানুষের বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে জোরপূর্বক দায়সাড়াভাবে কাজ শেষ করতে চাচ্ছেন সাব-কন্ট্রাকটর মাফিজ আলী। কাজের অনিয়মে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’দফা উপজেলা প্রকৌশলী ও জেলা এজিইডির প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কাজের গুনগত মান আরো বৃদ্ধি করার তাগিদ দেন বলেও জানা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তার ঢালাই কাজে অনিয়ম দেখে কান্দিগাঁও গ্রামের লোকজন এতে বাধা দেয়। এ নিয়ে সাব-কন্ট্রাকটরের সাথে গ্রামবাসীর বাক-বিতন্ডা ও হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে কান্দিগাঁও এবং মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায়-দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়। এসময় প্রবাসী নুরুল আমিনের বসতঘরে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত সাব-কন্ট্রাকটর মাফিজ আলী (৫০), প্রবাসীর স্ত্রী লুবনা বেগম (২৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মুক্তিরগাঁও গ্রামের আরব আলী (৩৫), তিররাই গ্রামের হুছন আলী (৪৫), আব্দুল কাদির (৩০), মানসীনগর গ্রামের বাবুল মিয়া (৩৫), কান্দিগাঁও গ্রামের খোকন মিয়া (৩৮), আব্দুস ছালাম (৫০), ফারুক মিয়া (২৫), রাজন মিয়া (২৬)সহ আহতদের ছাতক ও কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।