কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
২০১০ সালে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় আসামী হয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব), কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম আহমদ চৌধুরীসহ ৫৬ জন নেতাকর্মী। দীর্ঘ ৯ বছর মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে বিএনপির নেতাকর্মী সবাই খালাস পেয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জানান, ২০১০ সালের ৯ মার্চ দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চৌধুরী ঢাকা থেকে নিজ এলাকা কমলগঞ্জে ফিরছিলেন। এ সময় তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ বর্তমান মৌলভীবাজার-৪ এর সাংসদ কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১০ কি:মি: দূরে আলীনগর ইউনিয়নের চিৎলিয়া গ্রামে একটি জনসভায় ছিলেন। বিএনপি নেতা হাজী মুজিবের আকস্মিক আগমণে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চীফ হুইপের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখ করে পুলিশে হাজী মুজিবকে কমলগঞ্জে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করেছিল। এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতা হাজী মুজিব ও নেতা কর্মীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। সাথে সাথে হাজী মুজিব ও তার ছোট ভাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম শামীম আহমদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল।
রাতে তাদেরসহ বিএনপির ৬০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা (৩৪/১০) দায়ের করা হয়। তদন্তকালে ৬০ জন থেকে ৪জন আসামীকে বাদ দিলে ৫৬ জন আসামী থেকে যায় এ মামলায়। দীর্ঘ ৯ বছর মামলা চলাকালে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামীম আহমদ চৌধুরী মৃত্যু বরণ করেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলে বিজ্ঞ বিচারক সকল আসামীকে মামলা থেকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।