কাজিরবাজার ডেস্ক :
ঘুষ প্রদানের মামলায় কারাগারে থাকা পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী জামিনের আবেদন করেন।
আর দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আব্দুস সালাম ।
উভয় পক্ষে শুনানি শেষে বিচারক আসামি পক্ষকে হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। শুনানিকালে ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজিরা করা হয়।
এদিকে মামলাটিতে এদিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় একই বিচারক আগামী ২ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
মামলার অপর আসামি দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকেও এদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান ১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ২ জুলাই নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় অভিযোগ, আসামি ডিআইজি মিজানের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ছিলেন খন্দকার এনামুল বাছির। ডিআইজি মিজান ওই অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আসামি এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ/ উৎকোচ প্রদান করেন। অবৈধ চুক্তি অনুযায়ী মিজান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়ায় সে ঘুষ প্রদানের বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। যদিও বছির তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানা ফিল্ল্যা ঢাকা জেলা কার্যালয় এ মামলা করেন।