কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী ও ধলাই নদীতে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৮টায় ধলাই নদীর ধলাই সেতুর নিচে পাড়–য়ায় একদল লোক বাংলাদেশ ইঞ্জিন এন্ড বাল্কহেড বোট ওনার্স এসোসিয়েশনের নাম ভাঙ্গিয়ে ইঞ্জিন চালিত পাথর ও বালুবাহী নৌযান থেকে ৫০০-১০০০ টাকা চাঁদা আদায় করছিল। কোন নৌকা মালিক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাঁদাবাজদের হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ মারপিটের স্বীকার হতে হয়। চাঁদাবাজরা জোরপূর্বক নৌযান মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কালে নৌযান শ্রমিকরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় ধাওয়া করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে চাঁদাবাজরা ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই খাইরুল বাশার ও স্বপন মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী ও ধলাই নদীতে অভিযান চালান। পুলিশের অভিযানে ধলাই নদীতে চাঁদাবাজিকালে সুজন নামের একজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটক সুজন পাড়–য়া লামাপাড়া গ্রামের মৃত খুর্শিদ আলীর ছেলে। তাকে আটকের সময় দু’টি মোবাইল সেট, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ বিভিন্ন মালামাল পুলিশ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে রোমান আহমদ বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার পর পরই সিলেট উত্তর সার্কেলের সিনিয়র এ.এস.পি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম একজনকে চাঁদাবাজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।’