স্টাফ রিপোর্টার :
সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই যুক্তরাজ্য প্রবাসী দবির আহমদ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা মো. ফয়জুল ইসলাম লেইছ। গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে লেইছ বলেন, ‘দবির আহমদ তার সম্পর্কে ভায়রা। গোয়াইনঘাট থানার ফতেহপুর ইউনিয়েনের স্থিত রামনগর গুলিনি ও গুলনীর চা বাগান মৌজায় অবস্থিত ৬৫ একর জমির ২২টি পুকুর ও গাছ বাগান একসময় পতিত বিরাণ ভূমি ছিল। এই ভূমির মালিক ছিলেন দক্ষিণ সুরমার হাজী আইয়ুব আলী ওরফে দারা মিয়া। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই জমি নিয়ে দবির আহমদের সাথে দারা মিয়ার মামলা মোকদ্দমা চলছিল। জায়গাটির উপরে ২২টি মামলা ছিল। এক সময় আমার ভায়রা দবির আহমদ ও তার আত্মীয় স্বজন অসহায় অবস্থায় তার আমার সাহায্য চান। যেহেতু দারা মিয়া ও আমি একই গ্রামের মানুষ এবং তিনি আমার আত্মীয়ও, সেই সুবাদে তারা আমার সহযোগিতা চেয়েছিলেন। পরে দারা মিয়ার সাথে দফায় দফায় বৈঠকে বসে সবগুলো মামলা আপোষে নিষ্পত্তি করলে এই ভূমিতে দবির আহমদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে দবির মিয়া এই ভূমি আমাকে ১০ বছরের চুক্তিতে লিজ প্রদান করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘জমিটি লিজ নেয়ার পর সেখানে মোটা অংকের বিনিয়োগ করি তখন তার সাথে যে লিখিত চুক্তি করি তাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে দীর্ঘ মেয়াদী গাছগুলোর মালিক হবো আমি এবং আমিই তা অপসারণ করব। ৬ নং শর্তে উল্লেখ আছে মেয়াদান্তে যেসব গাছ কাটা যাবেনা সেগুলো সমঝোতার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে আমাকে প্রদান করবেন। চুক্তিতে মেয়াদের আগে কোনভাবেই চুক্তি বাতিলের সুযোগ ছিলনা। অথচ দবির আহমদ এখন আমার প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগকৃত ভূমিটি জোরপূর্বক দখল করে নিয়ে তিনিই আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে ফয়জুল ইসলাম লেইছ বলেন, ‘দবির আহমদ সংবাদ সম্মেলনে আমার নামে মানহানীকর মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তার মতো আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। তিনি শিপন, জাকির আলী, হোসেন ছমিরসহ যাদের সন্ত্রাসী হিাসাবে উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে শিপন তার শ্যালক যে আমার সাথে আছে। সে তার অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে তার পক্ষে অবস্থান নেয়নি বলে তাকে তিনি সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন। তাছাড়া অন্যদের কেউ আমার খামারের ষ্টাফ কেউবা ক্রেতা।